মুফতি নুরানীর হুংকারে ক্ষেপে উঠন বাংলাদেশের কাদিয়ানী
পঞ্চগড়ের আহমদনগরে ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ নামধারী কাদিয়ানি অমুসলিমরা আগামী ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় ইজতেমা’ করার ঘোষণা দেয়। স্থানীয় মুসলিমদের অভিযোগ, ইজতেমা সফল করতে নানা ধরনের প্রতারণামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তারা। যাতে সাধারণ মুসলমানের বিভ্রান্ত হচ্ছে। এতে এলাকার মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের তৈরি হয়েছে।স্থানীয় জনসাধারণ মুসলিম নামধারী অমুসলিম সম্প্রদায়ের কথিত ইজতেমাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো গত দুই সপ্তাহ যাবত। বিশেষত গত শুক্রবার বাদ জুমা থেকে আনুষ্ঠনিক কর্মসূচি পালন করে আসছিলো তারা। এ সময় কয়েকবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও হয় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। কিন্তু প্রশাসন ইতিবাচক সাড়া দিতে অস্বীকার করে। প্রশাসন বার বার বলে আসছে সীমিত পরিসরে হলেও কাদিয়ানি ইজতেমা হতে হবে। তা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। বিপরীতে আন্দোলনকারীরা নিঃশর্তভাবে কাদিয়ানি ইজতেমা বন্ধের দাবি জানায়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকালও প্রশসান আন্দোলনকারী সমাজের শ্রেণির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। অন্যদিকে বাইরে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। বৈঠকের এক পর্যায়ে প্রশাসন শর্ত সাপেক্ষে কাদিয়ানি ইজতেমা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত দেয়। এই খবর বাইরে ছড়িয়ে পড়লে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের বাক-বিতণ্ডার শুরু হয়। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয় জনতা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উত্তেজিত জনতার একটি অংশ নদী পার হয়ে আহমদনগর যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় অনেকেই গুরুতর আহত হন।

অন্যদিকে পুলিশের সাথে সংঘাতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ নদী পার হয়ে আহমদনগরে চলে যায় এবং তারা কাদিয়ানি ইজতেমার প্যান্ডেলের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে অবস্থানরত কাদিয়ানিরা গরম পানি, লাঠি, খঞ্জরসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে মুসলমানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং অসংখ্য মুসলিম এই সময় আহত হয়। এ সময় প্যান্ডেলসহ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলে প্রশাসন কাদিয়ানি ইজতেমা স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। পঞ্চগড় পৌরসভা কেন্দ্রীয় মসজিদের মাইকে কাদিয়ানি ইজতেমা স্থগিত করার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন