হাজার পাপের নষ্ট ফসল
আল্লামা মুফতী নূর হোসাইন নূরানি দা.বা.
একজন পুরুষ যদি নিজেকে নবি দাবি করে হালুয়া-রুটির বন্দোবস্ত করতে পারে, তাহলে আমি কেন পারব না। মহিলা হয়েছি বলে আমার কি কোনো স্বাদ-আহ্লাদ থাকতে পারে না! সুতরাং, আজ থেকে আমিও নবি...
মহিলার নাম সাজ্জাহ। তাকে জিজ্ঞেস করাহল, তুমি যে নিজেকে নবি দাবি করছ, দলিল কী? সে বলল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'আনা খাতামুন নাবিয়্যীন, লা নাবিয়্যা বা'দী। আমার পরে আর নতুন কোনো নবি আসবেন না'। কিন্তু, 'লা নাবিয়্যাতা বা'দী' তো আর বলেননি। তিনি তো আর বলেননি আমার পরে আর কোনো নবিনী আসবেন না। সুতরাং আমার চান্স আছে...
খবর পৌছালো সেই পুরুষ ভণ্ড মুসায়লামা কাজ্জাবের কাছে। মুসায়লামা হল এই সিরিয়ালের প্রথম পাগল। সে চিন্তায় পড়েগেল... একজন মহিলাও যদি দোকান খুলে বসে, তাহলে তো আমার কাস্টমার কমে যাবে। যে করেই হোক, একে দমাতে হবে।
সাজ্জাহকে আক্রমণ করার জন্য রওয়ানা করল মুসায়লামা। তাকে এক ঘরে আটকে রাখল তিনদিন। এই তিনদিন বাইরে চলল যুদ্ধ, ভেতরে লটর-পটর। ভণ্ডা ভণ্ডীর প্রেমে মজে ভণ্ডীর সাথে কম্প্রোমাইজ করে ফেলল।
-দুজনে মিলেমিশে খাই চলো।
-কীভাবে?
-চলো বিয়ে করে ফেলি।
.
সাজ্জাহর সাথে মুসায়লামার বিয়ে হল। বিয়ের সময় বেইমাননী যখন মোহরানার দাবি করল, তখন বেইমানটা বলল, তোমার বিয়ের মোহরানা বাবত এশা ও ফজরের নামাজ মাফ করে দেওয়া হল।
-দুজনে মিলেমিশে খাই চলো।
-কীভাবে?
-চলো বিয়ে করে ফেলি।
.
সাজ্জাহর সাথে মুসায়লামার বিয়ে হল। বিয়ের সময় বেইমাননী যখন মোহরানার দাবি করল, তখন বেইমানটা বলল, তোমার বিয়ের মোহরানা বাবত এশা ও ফজরের নামাজ মাফ করে দেওয়া হল।
মুসায়লামা নবিজির জীবদ্বশাতেই নবুওয়াতের দাবি করে নবিজি কর্তৃক কাজ্জাব বা মিথ্যাবাদী খেতাব পেয়েছিল। হযরত আবুবকর সিদ্দিকের শাসনামলে ইয়ামামার যুদ্ধে তাকে হত্যা করাহয়। ভন্ডামির ইতিহাসে মুসায়লামাই ছিল প্রথম। এই রক্তের শেষ বংশধর মির্যা গোলাম কাদিয়ানী।
.
দুই
গত শতকের পাপের ফসল ছিল মির্যা গোলাম কাদিয়ানী। আল্লাহপাক খোলা টয়লেটের ময়লার মধ্যে তার মৃত্যু ঘটিয়ে দুনিয়াতেই তার ভণ্ডামির পরিচয় প্রকাশ করে দিয়েছেন। সুতরাং, মির্যার ভণ্ডামি নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নাই। তবে কথাহল, কাদিয়ানিদের ব্যাপারে মুসলমানদেরকে কথাবার্তায় আরো স্মার্ট হতে হবে।
.
ভন্ডনবি।
মিথ্যা নবি।
আহমদিয়া।
.
তিনটাই ভুল কথা। মানে ভুল পরিভাষা। আমাদের পরিভাষাগুলোকে আরো দায়িত্বশীলতার রূপ দেওয়া উচিত। পাশাপাশি মিছিলের স্লোগানগুলোকেও। 'একটা একটা কাদিয়ানী ধর/ধইরা ধইরা...' কে তৈরি করে দেয় এমন স্লোগান? এগুলো আমাদের স্লোগান হতে পারে না। এগুলোকে যে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার মানুষের কোনো অভাব নাই; একথা ভুলে গেলে তো হবে না।
.
কোনো নবি কখনও ভণ্ড হতে পারেন না। কোনো ভণ্ড কখনও নবি হয় না। সুতরাং মির্যা গোলাম কাদিয়ানী ভণ্ডনবি ছিল না। সে ছিল একজন ভণ্ড। ভণ্ডকে শুধুই ভণ্ড বলতে হবে, ভণ্ডনবি না।
.
মির্যা গোলাম কাদিয়ানী মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদার ছিল না; সে ছিল নবুওয়াতের মিথ্যা দাবিদার। কথা দুটো শুনতে প্রায় একই রকম শোনালেও কথা কিন্তু এক না। মিথ্যা নবুওয়াত বলে কিছু নেই। নবুওয়াত কখনও মিথ্যা হয় না। নবুওয়াত মানেই শাশ্বত সত্য। কেউ নবুওয়াতের মিথ্যা দাবি করলে তাকে মিথ্যানবি বলতে হবে কেন? নবুওয়াতের মিথ্যা দাবিদার বলা যায়।
.
দুই
গত শতকের পাপের ফসল ছিল মির্যা গোলাম কাদিয়ানী। আল্লাহপাক খোলা টয়লেটের ময়লার মধ্যে তার মৃত্যু ঘটিয়ে দুনিয়াতেই তার ভণ্ডামির পরিচয় প্রকাশ করে দিয়েছেন। সুতরাং, মির্যার ভণ্ডামি নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নাই। তবে কথাহল, কাদিয়ানিদের ব্যাপারে মুসলমানদেরকে কথাবার্তায় আরো স্মার্ট হতে হবে।
.
ভন্ডনবি।
মিথ্যা নবি।
আহমদিয়া।
.
তিনটাই ভুল কথা। মানে ভুল পরিভাষা। আমাদের পরিভাষাগুলোকে আরো দায়িত্বশীলতার রূপ দেওয়া উচিত। পাশাপাশি মিছিলের স্লোগানগুলোকেও। 'একটা একটা কাদিয়ানী ধর/ধইরা ধইরা...' কে তৈরি করে দেয় এমন স্লোগান? এগুলো আমাদের স্লোগান হতে পারে না। এগুলোকে যে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার মানুষের কোনো অভাব নাই; একথা ভুলে গেলে তো হবে না।
.
কোনো নবি কখনও ভণ্ড হতে পারেন না। কোনো ভণ্ড কখনও নবি হয় না। সুতরাং মির্যা গোলাম কাদিয়ানী ভণ্ডনবি ছিল না। সে ছিল একজন ভণ্ড। ভণ্ডকে শুধুই ভণ্ড বলতে হবে, ভণ্ডনবি না।
.
মির্যা গোলাম কাদিয়ানী মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদার ছিল না; সে ছিল নবুওয়াতের মিথ্যা দাবিদার। কথা দুটো শুনতে প্রায় একই রকম শোনালেও কথা কিন্তু এক না। মিথ্যা নবুওয়াত বলে কিছু নেই। নবুওয়াত কখনও মিথ্যা হয় না। নবুওয়াত মানেই শাশ্বত সত্য। কেউ নবুওয়াতের মিথ্যা দাবি করলে তাকে মিথ্যানবি বলতে হবে কেন? নবুওয়াতের মিথ্যা দাবিদার বলা যায়।
আর অবশ্যই মির্যার অনুসারীরা আহমদিয়া নয়। আহমদ হল মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম। সুতরাং তারা যা, কাদিয়ানী, মির্যায়ী, তাদেরকে তাই ডাকা উচিত, আহমদিয়া নয়।
.
তিন
ইদানীং কাদিয়ানীরা বাংলাদেশে আবারও মাথাছাড়া দিয়ে উঠবার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের শান্ত জনপদকে অশান্ত করে তুলবার পায়তারা করছে তারা। মুসলমানরা ক্ষুব্দ হয়ে উঠছে। সেটাই ইমানের দাবি।
.
তিন
ইদানীং কাদিয়ানীরা বাংলাদেশে আবারও মাথাছাড়া দিয়ে উঠবার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের শান্ত জনপদকে অশান্ত করে তুলবার পায়তারা করছে তারা। মুসলমানরা ক্ষুব্দ হয়ে উঠছে। সেটাই ইমানের দাবি।
দাবি একদম পরিস্কার। কাদিয়ানীরা কাদিয়ানী ধর্ম বা মির্যায়ী ধর্ম পালন করুক। সভা সমাবেশ করুক। পুঁজা-ইবাদত যা খুশি করুক। মুসলমানদের কোনো সমস্যা নাই। তবে মুসলমান নাম নিয়ে নবিজির নবুওয়াতের মর্যাদা নিয়ে ফাইজলামি করলে অবশ্যই আমাদের সমস্যা আছে। বিশ্ব মুসলিম এমন ফাইজলামি অতীতেও সহ্য করেনি, আগামীতেও করবে না।
----চলবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন