বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

‘কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার মধ্যেই দেশের শান্তি নিহিত’

‘কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার মধ্যেই দেশের শান্তি নিহিত’


 কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার মধ্যেই বাংলাদেশের শান্তি নিহিত দাবি করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে কাদিয়ানী সম্প্রদায় অমুসলিম। এটা স্পষ্ট। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীরা একে অকপটে মানেন এবং স্বীকার করেন। বাংলাদেশের অবস্থান ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করা উচিত।
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের অনুষ্ঠান বন্ধ করায় অভিনন্দন জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ায় আমরা এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাই। দেশের শান্তি বিনষ্ট হয় এমন অনুষ্ঠান আয়োজন থেকে প্রশাসন বিরত থাকুক সেটাই আমরা চাই। ভবিষ্যতেও এ বিষয়টি আমলে রাখার আহ্বান জানাই।
দেশের মানুষের ঈমান ও আকিদা যাতে প্রশ্নের মুখে না পড়ে সে লক্ষ্যে কাদিয়ানীকে অমুসলিম ঘোষণার বিকল্প নেই উল্লেখ করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, বিশে^র অনেক মুসলিম দেশেই কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। এখানকার মুসলমানগণ পরধর্মের প্রতিও আন্তরিক। মুসলমান কখনোই লাঠালাঠি ও দাঙ্গা হাঙ্গামায় বিশ^াসী নয়। ইসলাম সবসময় শাশ^ত সৌন্দর্যের আহ্বান জানায়। ইসলামের জন্য নতুন কোনো সংবিধানেরও দরকার নেই। নতুন কোনো কথা, নতুন কোনো স্লোগানও ইসলামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
কুরআন আমাদের আসল সংবিধান। পৃথিবীতে আর কোনো নবী ও রাসূল আসবেন না- একথা স্পষ্ট কুরআনের ঘোষণা। কুরআনে আল্লাহ তাআলা খাতামুন্নাবিয়্যিন বলে নবী ও রাসূল আগমনের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। নতুন করে কারও নবী ও রাসূল হওয়া সম্ভব নয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
মুসলিম হিসেবে কাদিয়ানীরা এ দেশে কোনো তৎপরতা জারি রাখতে পারে না উল্লেখ করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, তারা ভিন্ন কোনো সম্প্রদায় হিসেবে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারে কিনা সেটা বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। তবে তারা যে অমুসলিম সে ঘোষণা যত দ্রুত দেওয়া হবে ততই সরকারের জন্য ভালো।
যারা কাদিয়ানী বিরোধিতা করে আন্দোলন করছে তাদের উদ্দেশ করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, আন্দোলন অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুচারুরূপে হওয়া উচিত। আন্দোলনের ফসল যেনো কোনোভাবেই কাদিয়ানীদের ঘরে না ওঠে সেটাও ভাবা উচিত।
হক ও বাতিলের বিরুদ্ধে আলেম ও তাওহীদি জনতার ধারাবাহিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হওয়া উচিত উল্লেখ করে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আলেমগণ হলেন এদেশের মুকুট। আলেমগণ মাঝে মাঝে জেগে ওঠে আন্দোলন করবেন না। সবসময় আলেমদেরকে হক ও বাতিলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আলেমগণ সজাগ ও সতর্ক থাকলেই বাতিল কখনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব হাফেয মাওলানা মুফতি ওসমান আল-হুমাম উখিয়াভী সিনিয়র মুহাদ্দিস জামেয়া ইসলামিয়া বাইতুল ক...