মুফতি নুরানীর হুংকার
কাদিয়ানিদেরকে এ কয়টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলুন। দেখবেন কিভাবে ধরা খায়!!
______
(১) মির্যা কাদিয়ানীকে তোমরা কী মান? আর তোমাদের শেষনবীর নাম কী?
______
(১) মির্যা কাদিয়ানীকে তোমরা কী মান? আর তোমাদের শেষনবীর নাম কী?
(২) মির্যা কাদিয়ানী তো নিজেকে শ্রী কৃষ্ণের অবতার দাবিও করত। তাহলে তার বইগুলোর প্রচ্ছদে তার নামের আগে "মাসীহে মওঊদ ইমাম মাহদী" শুধু এটা লিখা হয় কেন?
(৩) মির্যা নিজেকে 'মুহাম্মদ' দাবী করেন এবং সুস্পষ্টভাবে এও লিখে গেছেন যে, দুনিয়াতে মুহাম্মদ (সা:)-এর পুনঃ আগমন হয়েছে। আর তা মির্যা কাদিয়ানীর চরিত্রে হয়েছে। (নাউজুবিল্লা)। একথা আছে মির্যা বশির আহমদ এম এ রচিত কালিমাতুল ফছল বইতে। তাহলে এখন প্রশ্ন দাঁড়াল, মির্যা যদি নিজেই মুহাম্মদ হয় তখন সে কার উম্মতিনবী? নাকি নিজেই নিজের উম্মতিনবী?
(৪) মির্যা কাদিয়ানী ১৮৮২ সালের দিকে বারাহিনে আহমদিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে তার হাকিকাতুল ওহী বইতে লিখেছে আল্লাহ তাকে নবী নাম রেখেছিলেন। কিন্তু মির্যা সাহেব ১৮৯১ সালের পরে রচিত তার ইযালায়ে আওহাম বইতে লিখেছে আল্লাহ নাকি তাকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আখ্যা দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হল, যেই লোক প্রথমে নবী হবেন সেই একই লোক পরবর্তী ১০ বছর পরে "মুজাদ্দিদ" হওয়ার মানে কি? মুজাদ্দিদ হলে নবী হবে কেন? আর নবী হলে মুজাদ্দিদ হতে হবে কেন?
(৫) মির্যা মুজাদ্দিদ দাবির ভেতর ১০ বছর অতিবাহিত করার পরেও জীবনে কখনো বলেন নি যে, ঈসা (আ:) মৃত্যুবরণ করেছেন, তিনি আকাশ থেকে আসবেন না। বরং মির্যার ছেলে মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ তার "হাকিকাতুন নবুওত" বইতে লিখেন, মির্যা সাহেব তার মাসীহ খেতাব পাওয়া সত্ত্বেও ১০ বছর পর্যন্ত এটাই বিশ্বাস করে আসছিলেন যে, ঈসা (আ:) জীবিত এবং সশরীরে আকাশে আছে। (হাকিকাতুন নবুওতঃ ১/৪৬৩)।
কিন্তু ১৮৯১ সালের পর মির্যা নিজেকে মাসীহ ঈসা দাবী করেন। আর তার পর কুরআনের নাম ভেঙ্গে বলতে লাগলেন ঈসা (আ:) মারা গেছেন, তিনি আকাশে নন। এখন প্রশ্ন হল, মির্যা যে আয়াত দিয়ে এখন ঈসাকে মৃত প্রমাণ করতে চাইছেন এই আয়াত গুলো কি ইতিপূর্বে পবিত্র কুরআনে ছিল না? নাকি তিনি তখন আয়াতগুলো দেখেন নি? অথবা দেখে থাকলেও বুঝেননি? অথচ মির্যা সাহেব মুজাদ্দিদ দাবী করে এও লিখেছেন যে, মুজাদ্দিদকে আল্লাহতালা কুরআনের বুঝ দান করে থাকেন। (রূহানী খাযায়েন ১৪/২৮৮)। আরেক জায়গায় তিনি লিখেছেন 'আল্লাহ তায়ালা আমাকে ভুলের উপর এক মুহূর্তও স্থির রাখেন না। আমাকে প্রত্যেক ভুল ভ্রান্তি থেকে রক্ষা করেন।' (রূহানী খাযায়েন ৮/২৮৮)।
সুতরাং তিনি ইতিপূর্বে আয়াতগুলোর প্রকৃত মর্মার্থ বুঝতে পারেননি বা তার ইজতিহাদী ভুল হয়েছিল, এধরণের কথা বলার আর কোনো সুযোগ থাকল না।
________
________
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন