বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

আপনি কি ইসলাম বনাম কাদিয়ানী মতবাদের পার্থক্যগুলো জানেন?

আপনি কি ইসলাম বনাম কাদিয়ানী মতবাদের পার্থক্যগুলো জানেন?

 

[] ইসলাম বনাম কাদিয়ানী মতবাদ []
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরুকথা :- ইসলামি বিশ্বাস হচ্ছে সেই বিশ্বাস, যেটি পবিত্র কুরান এবং সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। যুগ যুগ ধরে মুসলিম উম্মাহা'র শ্রেষ্ঠতম ও বরেণ্য মুহাক্কিক, মুহাদ্দিস এবং মুফাসসীরগণের ইজমা (ঐক্যমত্য) যার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। যদ্দরুন আসলাফের বিপরীতে ভিন্ন মত ও বিশ্বাসের যে কেউ ইসলাম থেকে খারিজ হিসেবে গণ্য হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তখন যতই যুক্তি দেয়া হবে, যতই দাবি করা হবে সে মুসলিম বা কুরান হাদিসকে বেঁকিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে যতই নিজেদের সঠিক প্রমাণ করা হবে, তাতে বিন্দুমাত্র কাজ হবেনা। কারণ সালফে সালেহীনের বিপরীতে ও ইজমার বিরুদ্ধে কারো নতুন কোনো ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।
[] মুসলিমদের সাথে কাদিয়ানিদের বিশ্বাসের পার্থক্য :
মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (মৃত : ১৯০৮ ইং) ভারতের একজন বাসিন্দা। ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন নবী দাবিদার। অত্যধিক ধুর্ত ও কপট প্রকৃতির ব্যক্তি। বৃটিশ সরকারের অন্যতম তাবেদার। এ ব্যক্তি নিজেকে কখনো মুজাদ্দিদ, কখনো মাহদী, কখনো ঈসা ইবনে মরিয়ম আবার কখনো নবী দাবি করেছিল। বৃটিশ সরকারের খাহেশ বাস্তবায়ন করার জন্য ইসলামের আইন-আদালতকে মনগড়া ব্যাখ্যা দিত। ১৮৯১ সালে সর্বপ্রথম সে প্রতীক্ষিত মাহদী দাবি করে। যা মিথ্যা এবং স্বজাতির সাথে সুস্পষ্ট প্রতারণা। প্রতীক্ষিত মাহদী তিনি কেমন হবেন তার আলামত সহিহ হাদিসগুলোতে বিধৃত হয়েছে। (উপরে পিকচারে দেখুন)।
[] মূল আলোচনা :
চরম স্ববিরোধী মতাবলম্বী কাদিয়ানী জামাত এমন একটি গোষ্ঠী, যাদের আকিদার সাথে প্রকৃত ইসলামি আকিদার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে এমন কিছু মতবাদে বিশ্বাসী যা পুরোই মনগড়া এবং নবুওত এর দাবিদার মির্জা গোলাম কাদিয়ানি থেকে দ্বার করা। মজার ব্যাপার হল, মির্জা কাদিয়ানির লেখিত পুস্তকগুলোতে অহরহ স্ববিরোধী কথাবার্তা পাওয়া যায়। যেমন মির্যা কাদিয়ানী কোথাও নিজেকে নবী দাবি করে লিখেছে :
براہین احمدیہ میں ہی خدا نے انکا نام نبی اور رسول رکہا ہے، فرمایا کہ خدا تعالیٰ کی وہ جو پاک وحی جو. میرے پر نازل ہوتی ہے.
তথা... 'বারাহীনে আহমদিয়া'র মধ্যে খোদাতায়ালা উনার (মির্যা) নাম নবী এবং রাসূল রেখেছেন। ইরশাদ হয়েছে যে, খোদাতায়ালার পবিত্র ওহী আমার উপর নাযিল হয়।' (বারাহীনে আহমদিয়া : ৪৯৮ দ্রষ্টব্য)। মির্যা কাদিয়ানী তার অন্য আরেক জায়গায় নিজেকে 'রাসূল' দাবি করে লিখেছে :
تو بہی ایک رسول ہے جیسا کہ فرعون کی طرف ایک رسول بہیجا گیا تھا.
অর্থাৎ তুমিও একজন রাসূল, যেরকম ফেরাউনের নিকট একজন রাসূলকে প্রেরণ করা হয়েছিল।' (সূত্র - মালফূজাত : ৮/৪২৪; লেখক মির্যা কাদিয়ানী)।
আবার কোথাও স্ববিরোধিতা করে লিখেছে 'মুহাম্মদ আঁ-হযরত (সা)-এর পর যে নিজেকে নবী দাবি করবে আমি তাকে অভিশপ্ত এবং কাফির মনে করি (মাজমু'আ ইশতিহারাত ১/২৩০-৩১ দ্রষ্টব্য)। স্কিনশট দেখুন। www.markajomar.com/?p=3600
প্রিয় পাঠক! এ সেই ব্যক্তি যাকে 'আহমদিয়া মুসলিম জামাত' নামধারী কাদিয়ানিরা কথিত ইমাম মাহদী বিশ্বাস করে। আপনার ক্ষুদ্র বিবেককে প্রশ্ন করুন, এ ব্যক্তি নবুওত দাবি করে নিজের ফতুয়াতে নিজেই যেখানে কাফির, সেখানে সে ইমাম মাহদী হয় কিভাবে?
[] সহীহ হাদিসে নবুওত এবং রেসালতের দ্বার বন্ধ ঘোষণা :
সহীহ হাদিসে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে - রেসালাত আর নবুওত বন্ধ হয়ে গেছে। এ সম্পর্কে নিচের পিকচারটিতে দেখুন।
নবীপ্রেমিক তাওহিদী বন্ধুরা! এখানে ভণ্ড কাদিয়ানী জামাতের জঘন্যতম কিছু বদ-দ্বীনি আকিদা ও ইসলাম বিরুধী আকিদার ফিরিস্তি তুলে ধরব, ইনশাল্লাহ। যাতে ইসলাম এবং কাদিয়ানিজম দুটো ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শ হিসেবে সবার নিকট সুস্পষ্ট হয়ে যায়।
১- কাদিয়ানিদের আকিদা : - তাদের বিশ্বাস হল, মুহাম্মদ (সা)-এর পরে আর কোনো নবী নেই- এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, নতুন শরিয়তি নবী নেই কিন্তু নতুন অ-শরিয়তি নবী আছে। যেমন ১৯০১ সালে নবুওত এর দাবিদার মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী একজন অ-শরীয়তি নবী ও উম্মতি নবী। (নাউজুবিল্লা)
খণ্ডনমূলক জবাব : এ জন্যই তো চির হতভাগা মির্যা কাদিয়ানী নিজের ফতুয়াতে নিজেই কাজ্জাব এবং কাফির ও অভিশপ্ত সাব্যস্ত হল। মির্যা সাহেব সম্পর্কে তার অনুসারিরা সত্য প্রকাশ করতে চায় না। যদি আসল সত্য প্রকাশ পায় তাহলে পাবলিক তাদের দেশছাড়া করবে তাতে সন্দেহ নেই। মির্যা সাহেব, নিজেকে 'রাসূল' দাবিও করেছে এবং রাসূলের সংজ্ঞাও দিয়েছে। যেমন সে লিখেছে-
حسب تصريح قرآن کریم، رسول اسی کو کہتے ہیں جس نے احکام و عقائد دین جبرائیل کے ذریعہ حاصل کئی ہوں لیکن وحی نبوت پر تو تیرہ سو برس سے مہر لگ گئی ہے، کیا یہ مہر اس وقت ٹوٹ جائے گی؟ ازالہ اوہام 3/387
অর্থাৎ কুরানুল কারীমের সুস্পষ্ট বর্ণনামতে রাসূল তাঁকেই বলবে যিনি জিব্রাইলের মাধ্যমে শরীয়তের বিধানাবলী এবং দ্বীনি আকিদা বিশ্বাস অর্জন করবেন। কিন্তু ওহীর উপর তো তের শত বছর ব্যাপী মোহর (সীল) লেগেই আছে। এ মুহূর্তে কি সেই মোহর (সীল) ভেঙ্গে যাবে?? (ইযালাতুল আওহাম : ৩/৩৮৭) এমতাবস্থায় বলা যেতে পারে যে, মির্যা রাসূল দাবী করে আদতে নতুন শরীয়ত অর্জন করারই দাবি করল।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, শেষোক্ত কথা দ্বারা মির্যা নবুওত দাবিকে অস্বীকার করল। এভাবে মির্যার স্ববিরোধী কথাবার্তার অন্ত নেই। তাই অসংখ্য কাদিয়ানী মুবাল্লিগ ও মুবাহিস পর্যন্ত কাদিয়ানিয়ত ত্যাগ করে ইসলাম কবুল করা শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে শায়খ রাহিল আহমেদ জার্মানি, মির্যা মাসরূর আহমেদের রেদ্বায়ী ভাতিজা মির্যা শামসুদ্দিন লাহোর, ইরফান মাহমুদ বাট প্রমুখ অন্যতম। অধিকন্তু উম্মতের যে বা যারা নবুওত এর দাবি করবে তাকে সহিহ হাদিসে সুস্পষ্টভাবে 'কাজ্জাব' (মিথ্যুক), দাজ্জাল (ধোঁকাবাজ) আখ্যা দিয়েছে। [তিরমিযি শরিফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৫; মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ২১৮৮৯]
২- কাদিয়ানিদের আকিদা : পবিত্র কুরানের সূরা নিসার ১৫৭ নং আয়াতে হযরত ঈসা (আ) সম্পর্কে আল্লাহ'র বাণীকে অপব্যাখ্যা দিয়ে কাদিয়ানিরা বলে : 'রাফা'আহুল্লাহু ইলাইহী' এর ভেতর "রাফা'আ" (رفع) মানে আকাশে উঠিয়ে নেয়া নয়, বরং 'মর্যাদা উন্নীত' করা বুঝানো হয়েছে। (নাউজুবিল্লা)।
খণ্ডনমূলক জবাব : رفع (রাফা'আ) এর صلة (ছিলাহ) যখন ظرف (স্থান/সময়) কিংবা ظرف এর অর্থপ্রদানকারী হবে এবং مفعول به তথা কর্মপদ شيئ -(বস্তুবাচক) হবে, তখন 'রাফাআ' এর প্রকৃত অর্থ নিতে হবে - উপরে উত্তোলন করা/উপরে উঠানো। যেজন্য সকল মুফাসসীর এ আয়াত দ্বারা ঈসাকে উপরের দিকে (আকাশে) উঠিয়ে নেয়া বুঝিয়েছেন। কুরানের একাধিক আয়াত এবং সহীহ হাদিসে এর পক্ষে যথেষ্ট ক্বরীনা বা প্রমাণ বিদ্যমান।
পবিত্র কুরানের সূরা বাকারা'র ৬৩ এবং ৯৩ নং আয়াতে এর সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। আল্লাহতালা এরশাদ করেন -
و اذ اخذنا ميثاقكم و رفعنا فوقكم الطور
অর্থাৎ স্মরণ কর, যখন তোমাদের অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তূর পর্বতকে তোমাদের ঊর্ধ্বে উত্তোলন করিয়াছিলাম।"
সিয়াহ সিত্তার অন্যতম 'সুনানে নাসায়ী' কিতাবের ১ম খন্ডের ১৪০ নং পৃষ্ঠায় হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রা) হতে বর্ণিত আছে, أنه رأى النبي صلى الله عليه وسلم : اذا افتتح الصلاة رفع يديه حتى تكاد ابهامه تحاذى شحمة أذنيه
অর্থাৎ তিনি দেখেছেন, নবীকরিম (সা) যখন নামায শুরু করতেন তখন উভয় হাত এতো উত্তোলন করতেন যে, প্রায় কানের লতি বরাবর হয়ে যেত।'
সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ এবং নাসায়ী কিতাবে এসেছে, হযরত মালেক ইবনে হুয়াইরিছ (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم : يرفع يديه اذا كبر و إذا رفع رأسه من الركوع حتى يبلغ بهما فروع أذنيه
অর্থাৎ আমি রাসূল (সা)-কে দেখেছি, তিনি যখন তাকবীরে তাহরিমা বলতেন তখন স্বীয় দু হাত উত্তোলন করতেন এবং যখন রুকূ হতে মাথা উত্তোলন করতেন তখন তিনি স্বীয় দু' কানের লতি পর্যন্ত হস্তদ্বয় পৌঁছাতেন....। (মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মদ, বাবু ইফতিতাহিস সালাত)।
প্রিয় পাঠক! 'রাফা'আ' শব্দের প্রকৃত অর্থ 'উত্তোলন করা' বা 'উপরে উঠানো' হওয়ার পক্ষে পবিত্র কুরান এবং সহীহ হাদিস থেকে কয়েকটি উদাহরণ দিলাম।
৩- কাদিয়ানিদের আকিদা : কাদিয়ানিদের দাবি হচ্ছে, হযরত ঈসা (আ) পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আকাশ থেকে নাযিল হওয়ার বিষয়ে যেসব হাদিস এসেছে সেগুলো মোল্লাদের (ব্যঙ্গার্থে) বানানো। (আরেকটু অগ্রসর হয়ে) কাফিরেরা বানিয়ে হাদিসের নামে ঢুকিয়ে দিয়েছে। (তাদের আরেকটি দাবি হল) হাদিসে 'নাযিল' শব্দটি রূপকার্থে উল্লেখ হয়েছে। অর্থাৎ ঈসার নমুনায় অন্য কেউ পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ করবে। বনী ইস্রাইল (ইহুদীজাতি) ঈসাকে যেমন স্বীকার করেনি, তেমনি তাঁর নমুনায় যিনি আসবেন তাকেও উম্মতে মুহাম্মদিয়া স্বীকার করবেনা। আর সেই নমুনার মানুষটি এসে গেছেন। যার নাম মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। সুতরাং ঈসা নবী দ্বিতীয়বার দুনিয়াতে আসবেন না।(নাউজুবিল্লা)
খণ্ডনমূলক জবাব : তাদের এসব কথাবার্তা পুরোপুরি অবাস্তব এবং মস্তিষ্কপ্রসূত। যা কখনো কোনো মুসলমানের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। ইচ্ছে করলে অনেক জবাব দেয়া যায়। এখানে শুধু এটুকু বলতে চাই যে, ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ)-এর অনুরূপ ভিন্ন কেউ উম্মতে মুহাম্মদিয়ার মধ্য থেকে জন্ম নিয়ে প্রতিশ্রুত মাসীহ নামে প্রকাশিত হবে এমন কোনো কথার ন্যূনতম ইঙ্গিতও কোনো সহীহ হাদিসে নেই। বরং পরিষ্কার বলা হয়েছে, 'রাসূল (সা) বলেছেন- সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতের মুঠোতে আমার প্রাণ, নিশ্চয় ইবনে মরিয়ম তোমাদের মাঝে নাযিল হবেন। (বুখারী, কিতাবুল আম্বিয়া, হা/৩২৬৫)। বিস্তারিত দেখতে Click করুন। সুতরাং মির্যার মাসীহ দাবি নিছক মিথ্যা এবং প্রতারণা।
৪- কাদিয়ানিদের আকিদা : কাদিয়ানিদের দাবি, ঈসা ইবনু মারিয়াম (আ) তিনি মরে গেছেন। কারণ কুরানে এসেছে প্রত্যেক প্রাণী মরণশীল। তাছাড়া সূরা আলে ইমরানের ১৪৪ নং আয়াতে এসেছে, 'মুহাম্মদ একজন রাসূল মাত্র। তাহার পূর্বে বহু রাসূল গত হইয়াছে।' সুতরাং বুঝা গেল, ঈসা ইবনে মরিয়মও মারা গেছেন। বর্তমানে ঈসা'র কবর কাশ্মীরে আছে। (নাউজুবিল্লা)
খণ্ডনমূলক জবাব : মুসলিমরাও স্বীকার করেন যে, সকল মানুষের ন্যায় ঈসাও মরণশীল। তিনি কেয়ামতপূর্বে আবার দুনিয়ায় আসবেন। এরপর চল্লিশ বছর বসবাস করবেন। তারপর স্বাভাবিক নিয়মে মৃত্যুবরণ করবেন, মহানবীর রাওজার পাশে ঈসা'র কবর হবে। (হাদিসে পরিষ্কার এর প্রমাণ আছে)। সূরা আলে ইমরানের উক্ত আয়াতের কোথাও বলা হয়নি যে, সব রাসূল মৃত্যুবরণ করেছেন, বরং আয়াতে বলা হয়েছে - ক্বাদ খালাত মিন কাবলহির রুসুলু। যার অর্থ তাহার পূর্বে বহু রাসূল গত হইয়াছে (অনুবাদ: আল কুরানুল কারীম, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন)। 'গত হইয়াছে' এর মর্মার্থ ব্যাপক। যা 'মৃত্যু' অর্থের জন্য খাস বা নির্দিষ্ট নয়। এটি পবিত্র কুরানের এক ধরণের অলংকার। এরকম শব্দচয়ন দ্বারা যেন বুঝাতে চেয়েছে যে, আপনার পূর্বের সকল রাসূল গত হয়েছে, তবে সকলেই মৃত্যুবরণ করেনি। যেমন ঈসা ইবনে মরিয়ম। পবিত্র কুরানের নানা জায়গায় ঈসা (আ)-এর জীবিত থাকার প্রতি পরিষ্কার ইঙ্গিত আছে। যেমন, সূরা নিসার ১৫৯ নং আয়াত, সূরা যুখরুফের ৬১ নং আয়াত।
শুনে অবাক হবেন যে, ঈসা (আ) আজো জীবিত থাকা, এটি মির্যা কাদিয়ানী নিজেও স্বীকার করত। (মির্যার লেখিত, বারাহিনে আহমদিয়া'র টীকা পৃষ্ঠা নং ৪৯৮-৪৯৯ দ্রষ্টব্য)। মির্যাপুত্র বশিরুদ্দিন মাহমূদ রচিত 'হাকিকাতুন নবুওত' বইয়ের ১৪২ নং পৃষ্ঠায় সুস্পষ্টভাবে এ কথার পক্ষে প্রমাণ রয়েছে যে, ১৮৮০ সালে সে নিজেকে মুজাদ্দিদ দাবি করার পর থেকে প্রায় ১০ বছর অব্ধি উক্ত আকিদাই রাখত। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হল, যে ব্যক্তি নিজেকে মুজাদ্দিদ দাবি করল সেও দীর্ঘ ১০ বছর পর্যন্ত কুরান হাদিস থেকে 'ঈসার মৃত্যু' উদ্ধার করতে পারলনা! একজন মুজাদ্দিদ দাবিদার কিভাবে এরকম ভুল (মির্যার মতে শিরিকি আকিদা)'র উপর এত দীর্ঘ সময় পার করতে পারে? এ দেখুন মির্যা কাদিয়ানী নিজের ব্যাপারে কী সব বলে গেল :
الله تعالى مجہے غلطی پر ایک لمحہ بھی باقی نہیں رہتے دیتا اور مجھے ہر یک غلطی بات سے محفوظ رکہتا ہے.
অর্থ : আল্লাহতালা আমাকে ভুলে উপর এক মুহূর্তও বহাল থাকতে দেননা এবং আমাকে প্রত্যেক ভুল বক্তব্য থেকে হেফাজত রাখেন। [দেখুন : রূহানী খাযায়েন - ৮/২৭২]
এতে প্রশ্ন জাগে যে, মির্যা কাদিয়ানী উক্ত ভুলের উপর (যদিও তার পরবর্তী দাবি মতে ভুল) ১০ বছর পার করল কেন? আল্লাহ তাকে এরকম একটি নিকৃষ্ট (?) ভুলের উপর বহাল রাখল কেন? দেখুন তো মির্যার কথা আর বিশ্বাসের মাঝে ন্যূনতম মিল কোথায়? যাইহোক, এ তথাকথিত এলহাম আর ওহীর দাবিদার ভন্ড মির্যা কাদিয়ানী ১৮৯১ সালে নিজেকে ঈসা মাসীহ দাবি করে ফতুয়া দিল, আসল ঈসা মরে গেছে!! (নাউজুবিল্লা)। কেউ তাকে জিজ্ঞেস করল, তাহলে আসল ঈসার কবর কোথায়? প্রত্যুত্তরে মির্যা নানা রকম স্ববিরোধী উক্তি করল। কখনো বলতেন, ঈসার কবর কাশ্মীর শ্রীনগরে। যেমন তার পুস্তকে লেখা আছে -
[১]
مسیح علیہ السلام کی قبر سری نگر میں ہے.
অর্থাৎ মাসীহ (আ)-এর কবর (কাশ্মীরের) শ্রীনগরে। {এটি মির্যার راز حقیقت পুস্তকের ২০ নং পৃষ্ঠায় পাবেন।}
[২]
মির্যা সাহেব তার আরেক পুস্তকে লিখেছে -
مسیح اپنی وطن گلیل میں جاکر فوت ہوگیا لیکن یہ ہرگز سچ نہیں کہ وہی جسم جو دفن ہو چکا تھا پھر زندہ ہوگیا
অর্থাৎ মাসীহ তিনি নিজ মাতৃভূমি 'গ্যালিলে' (সিরিয়ার প্রাচীনতম একটি জনপথ) গিয়ে ইন্তিকাল করেছেন। তাঁর শরীর সেখানে দাফন হবার পরে পুনরায় জীবিত হয়ে যাওয়া মোটেও সত্য নয়। {এটি মির্যার إزالة الاوہام পুস্তকের ৪৭৩ নং পৃষ্ঠায় পাবেন।} এখানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, ঈসা (আ) গ্যালিলে (সিরিয়াতে) মৃত্যুবরণ করেছেন। (নাউজুবিল্লা) তার পুস্তকের স্কিনকপি web সাইট থেকে দেখুন! www.markajomar.com/?p=3343
[৩]
এ কাজ্জাব ভণ্ড তার আরেক পুস্তকে আগের দুটোর বিপরীতে লিখেছে-
عیسیٰ کی قبر بلده قدس میں ہے اور ابتک موجود ہے অর্থাৎ ঈসার কবর বায়তুল মুকাদ্দাস (ফিলিস্তিন) শহরে অবস্থিত। তথায় এখনো বিদ্যমান আছে।' {এটি মির্যার إتمام الحجة পুস্তকের ২২ নং পৃষ্ঠায় পাবেন।} তার বইয়ের স্কিনকপি web সাইট থেকে দেখুন! www.markajomar.com/?p=3343
প্রিয়পাঠক! হযরত ঈসা (আ) -কে মৃত সাব্যস্ত করতে গিয়ে মির্যা কাদিয়ানী এক মুখে কয় ধরণের কথা বলল তা তো দেখলেন। এমন ব্যক্তি যদি দাবি করে যে, কুরানের ৩০ টি আয়াতে ঈসা মাসীহ'র মৃত্যুর প্রমাণ রয়েছে, তখন তার ওই দাবি কতটা গুরুত্ব রাখবে তা আপনারাই বলুন! উপরন্তু মির্যা কাদিয়ানী তথাকথিত 'মুজাদ্দিদ' থাকা কালে দীর্ঘ ১০ বছরেও ঈসার মৃত্যুর দলিল আবিষ্কার করতে না পারা আর জীবিত ঈসা'র কাল্পনিক কবর সম্পর্কে তিন ধরণের পরস্পর বিরুধি তথ্য দেয়া, সবই তার মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয় কি?
মির্যা কাদিয়ানী কর্তৃক স্বীকৃত প্রায় ৩০ জন মুজাদ্দিদের আকিদা ঈসা (আ) বর্তমানেও জীবিত এবং তিনি কেয়ামত পূর্ব সময়ে আকাশ থেকে নাযিল হবেন।
৫- কাদিয়ানিদের আকিদা : বর্তমানে কাদিয়ানিরা সুনানে ইবনে মাজা'র একটি হাদিসের খণ্ডিত অংশের বেঁকিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলে বেড়ায়: যিনি ঈসা তিনিই মাহদী। (নাউজুবিল্লা)।
খণ্ডনমূলক জবাব : মির্যা কাদিয়ানী কত বড় মিথ্যাবাদী আর দাজ্জাল তার প্রমাণ তো উপরেই দেখলেন। এমন ব্যক্তি 'ঈসা মাসীহ আর ইমাম মাহদী' - দু'জনকে অভিন্ন চরিত্রের দাবি করে সে প্রকারান্তরে নিজেই নিজের ধ্বংস আর অকল্যাণকে বৃদ্ধি করেছে। কারণ তার জন্মের পূর্বে গত ১৩ শত বছরেও তার মত এমন কথা আর কেউ বলেনি। কাজেই, মির্যার এমন দাবি পরিত্যাজ্য বৈ কিছুনা। শুনে অবাক হবেন, মির্যা কাদিয়ানি নিজেও সুনানে ইবনে মাজা'র উপরের বর্ণনাটির সনদ বা সূত্রকে দুর্বল, ক্রুটিযুক্ত ও 'অগ্রহণযোগ্য' বলে গেছে। প্রমাণের জন্য তার 'হামামাতুল বুশরা' (পৃষ্ঠা নং ১৮৭) পুস্তকের স্কিনকপি web সাইট থেকে দেখুন! www.markajomar.com/?p=3343
৬- কাদিয়ানিদের আকিদা : জিহাদ বা সশস্ত্র ধর্মযুদ্ধ হারাম ও নিষিদ্ধ। মাসীহ মাওঊদ মির্জা কাদিয়ানী জিহাদ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। কেয়ামত পর্যন্ত যুক্তিতর্ক দ্বারা জিহাদ অব্যাহত থাকবে, কিন্তু অস্ত্রের জিহাদ রহিত ও নিষিদ্ধ। (নাউজুবিল্লা)।
খণ্ডনমূলক জবাব : আখেরি নবী (সা) বলে গেছেন : কেয়ামত পর্যন্ত তাঁর উম্মতের একটি দল বিজয়ী বেশে হক্বের উপর লড়াই অব্যাহত রাখবে। (সহীহ মুসলিম ১ম খন্ড হাদিস নং ১৫৬)। সুতরাং মিথ্যাবাদী এবং ভণ্ড মির্যা কাদিয়ানির এসব কথাবার্তা বিশ্বনবীর সুস্পষ্ট হাদিসের বিপরীতে পুরোই মূল্যহীন। তার এসব বাগাড়ম্বর শুধমাত্র সাম্রাজ্যবাদ বৃটিশকে খুশি রাখা বৈ কিছুইনা।
৭- কাদিয়ানিদের আকিদা : মির্যা সাহেব লিখেছেন, বৃটিশ সরকারের অবাধ্যতা আল্লাহ'র রাসূল ও ইসলামের অবাধ্যতা। (দেখুন : রূহানী খাযায়েন - ৬/৩৮১)
খণ্ডনমূলক জবাব : মির্যা সাহেবের বৃটিশ তোষণ নীতি সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ হবেনা। মূলত বৃটিশ সরকারই তার ইমাম মাহদী দাবির পেছনে প্রধান উস্কানিদাতা ও মদদ দাতা। বর্তমানে কাদিয়ানিদের হেড কোয়ার্টার পর্যন্ত 'ইংল্যাণ্ডে' এবং ইসরাইলের তেল আবীবে। সেখান থেকে তারা সারা দুনিয়াতে মির্যার পঁচাগান্ধা মতবাদের তরফদারি করে যাচ্ছে। সুতরাং জ্ঞানীদের জন্য এতটুকুতেই বুঝা যথেষ্ট হবে যে, কাদিয়ানী ধর্মটি বৃটিশের একটি 'গেইম' মাত্র। যার খেলোয়াড়ের চরিত্রে ছিল 'মির্যা গোলাম আহমদ' আর রেফারির ভুমিকাতে ছিল, বৃটিশ সরকার।
৮- কাদিয়ানিদের আকিদা : কাদিয়ানিদের দাবি হাদিসে বর্ণিত ইয়াজুজ - মাজুজ দ্বারা বিধ্বংসী আগ্নেয়াস্ত্রধারী পরাশক্তির উত্থান হওয়া উদ্দেশ্য। (নাউজুবিল্লা)।
খণ্ডনমূলক জবাব : কাদিয়ানিরা কুরান হাদিসের অপব্যাখ্যায় পারঙ্গম, তা সবাই জানেন। সে আলোচনায় আপাদত আজ যাচ্ছিনা। প্রত্যেক মুসলমান মাত্র জানে যে, ইয়াজুজ আর মাজূজ এরা আদম (আ)-এর সন্তানদের বড় একটি অংশ। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায়, তারা আদম (আ) এর বংশধর। প্রমাণ স্বরূপ সহীহ বুখারীর হাদীসটি উল্লেখযোগ্য। নবী (স) বলেন, “রোজ হাশরে আল্লাহ্‌ তা’আলা আদমকে বলবেন, ‘হে আদম’! আদম বলবেন, ‘আমি আপনার দরবারে উপস্থিত আছি। সমস্ত কল্যাণ আপনার হাতে’। আল্লাহ্‌ বলবেন, ‘জাহান্নামের বাহিনীকে আলাদা কর’।
আদম বলবেন, ‘কারা জাহান্নামের অধিবাসী’? আল্লাহ্‌ বলবেন, ‘প্রতি হাজারের মধ্যে নয়শত নিরানব্বই জন’। ‘এ সময় শিশু সন্তান বৃদ্ধ হয়ে যাবে, গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভের সন্তান পড়ে যাবে এবং মানুষদেরকে আপনি মাতাল অবস্থায় দেখতে পাবেন। অথচ তারা মাতাল নয়। আল্লাহ্‌র শাস্তির ভয়াবহতা অবলোকন করার কারণেই তাদেরকে মাতালের মত দেখা যাবে’। (সূরা হাজ্জঃ ২) সাহাবীগণ বললেন, “হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের মধ্যে সেই একজন কে”? তিনি বললেন, “তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। কেননা তোমাদের মধ্য হতে একজন আর এক হাজারের অবশিষ্ট ইয়াজুজ মাজুজ হবে”।
অতঃপর তিনি বললেন, “যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম। আমি আশা করি, তোমরা জান্নাতীদের চারভাগের এক ভাগ হবে”। [আবূ সা’ঈদ (রা) বলেন] আমরা এটা শুনে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবীর পাঠ করলাম।
তারপর নবী (সা) বললেন, “আমি আশা করি, তোমরা সমস্ত জান্নাতবাসীর এক তৃতীয়াংশ হবে”। আমরা এ সংবাদ শুনে আবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবীর দিলাম। তিনি আবার বললেন, “আমি আশা করি তোমরা সমস্ত জান্নাতীদের অর্ধেক হবে”। এ কথা শুনে আমরা আবারও ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবীর দিলাম। তিনি বললেন, “তোমরা তো অন্যান্য মানুষের তুলনায় এমন, যেমন সাদা ষাঁড়ের দেহে কয়েকটি কাল পশম অথবা কালো ষাঁড়ের শরীরে কয়েকটি সাদা পশম”। (সহীহ বুখারী, হাদীস সংখ্যা- ৩৩৪৮)
মুসলিম শরিফের হাদিসে এদের আকার আকৃতি এবং অবস্থা সম্পর্কে বর্ণিত আছে। কেয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে হযরত ঈসা (আ)-এর নাযিলের পর পৃথিবীতে এদের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তারা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাবে। আল্লাহতালা তাদের ঘাড়ে এক ধরণের পোকার বিস্তার ঘটাবেন। ফলে একসাথে সবাই মৃত্যুবরণ করবে। পৃথিবী তাদের লাশের আস্তাবলে পরিণত হবে। তখন আল্লাহতালার হুকুমে উটপাখির ন্যায় বিশালাকৃতির পাখিরা এসে এদের টেনে নিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করতে থাকবে। এ হচ্ছে ইয়াজুজ মাজুজ। পবিত্র কুরানেও এদের আলোচনা পাওয়া যায়। (সূরা আল কাহাফ, আয়াত ৯২-৯৯ ; সূরা আম্বিয়া আয়াত ৯৬-৯৭ দ্রষ্টব্য)।
৯- কাদিয়ানিদের আকিদা : হাদিসে বর্ণিত 'কানা দাজ্জাল' দ্বারা আসল উদ্দেশ্য হল ত্রিত্ববাদী খ্রিষ্টান মিশনারিরা। প্রকৃতপক্ষে দাজ্জাল বলতে এদেরকেই বুঝাবে। (নাউজুবিল্লা)।
খণ্ডনমূলক জবাব : হাদিস শরিফে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, ইস্ফাহান থেকে সত্তর হাজার ইহুদি সেদিন দাজ্জালের বাহিনীর সাথে যোগ দেবে। হযরত ঈসা (আ) দাজ্জালকে "লূদ" নামক গেইটে পেয়ে যাবেন। আর তখন তাকে হত্যা করবেন। সেদিন জিহাদের মাধ্যমে খোদাদ্রোহি শক্তি নাস্তানাবুদ হয়ে যাবে। অবশিষ্ট সবাই ইসলামের পাতাকা তলে যোগদান করবে। আল্লাহতালা ইসলামকে বিজয়ী করবেন। ইসলাম ব্যতীত বাকি সব ধর্ম এবং মতবাদ তিনি ধ্বংস করবেন। সুতরাং কাদিয়ানিদের উপরিউক্ত আকিদা তাদের নিজেস্ব ও বানোয়াট। এর সাথে প্রকৃত ইসলামের সম্পর্ক নেই।
১০- কাদিয়ানিদের আকিদা : তাদের দাবি- হাদিসে 'লূদ' নামক স্থানে দাজ্জালকে হত্যাকরা হবে মর্মে যা উল্লেখ আছে তদ্দ্বারা 'পাকিস্তানের লুধিয়ান শহর' বুঝাবে। সেখানে দাজ্জালকে বধ করা দ্বারা উদ্দেশ্য হল, খ্রিষ্টান ধর্মযাজকদেরকে বাহাস ও যুক্তিতর্কের মাধ্যমে পরাজিত করা। এটি ইতোমধ্যে মির্জা কাদিয়ানির মাধ্যমে ঘটে গেছে। (নাউজুবিল্লা)।
খণ্ডনমূলক জবাব : হাদিসে উদ্ধৃত 'লূদ' শহর আজকের দিনেও ফিলিস্তিনে (জেরুজালেম) বিদ্যমান। গুগল সার্জ দিয়ে ম্যাপ বের করলে দেখবেন, পাকিস্তানের লুধিয়ান থেকে জেরুজালেমের 'লূদ' শহরের দূরত্ব ৩৮৩৬ কিলোমিটার প্রায়। সুতরাং কাদিয়ানিদের দাবি নিজেস্ব কল্পিত ও বানোয়াট।
১১- কাদিয়ানিদের আকিদা : তাদের দাবি হল, দাব্বাতুল আরদ্ব (Dabbatul Arde) মানে প্লেগের প্রাদুর্ভাব। (নাউজুবিল্লা)।
খণ্ডনমূলক জবাব : কাদিয়ানিরা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে হাদিসে উল্লিখিত 'দাব্বাতুল আরদ্ব' এর মারাত্মক অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। অথচ হাদিসের বর্ণনা দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, এটি এক ধরণের জন্তু। যা কেয়ামতের বড় আলামত গুলোর অন্যতম। এক বর্ণনামতে এটি মক্কার সাফা এবং মারওয়া পর্বতের মাঝখান থেকে ভূগর্ভ হতে আত্মপ্রকাশ হবে। 'দাব্বাতুল আরদ্ব' সম্পর্কে জানা যায়, পবিত্র কুরানে এসেছে, এটি মানুষের সাথে কথা বলবে। বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে, তার এক হাতে মূসা (আ)-এর লাঠি থাকবে আর অপর হাতে থাকবে সোলায়মান (আ)-এর আংটি। আংটি দ্বারা মুমিনদের কপালে কিছু একটা লিখে দেবেন। ফলে তাদের মুখমণ্ডল সাদা আলোকময় হয়ে চমকাবে। আর কাফিরদের কপালেও কিছু একটা লিখে দেবেন। ফলে তাদের মুখমণ্ডল কালো হয়ে যাবে।
এ সম্পর্কে পবিত্র কুরানে এসেছে, আল্লাহতালা ইরশাদ করেন : وَإِذَا وَقَعَ الْقَوْلُ عَلَيْهِمْ أَخْرَجْنَا لَهُمْ دَابَّةً مِّنَ الْأَرْضِ تُكَلِّمُهُمْ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا بِآيَاتِنَا لَا يُوقِنُونَ
অর্থাৎ যখন প্রতিশ্রুতি (কেয়ামত) সমাগত হবে, তখন আমি তাদের সামনে ভূগর্ভ থেকে একটি জীব নির্গত করব। সে মানুষের সাথে কথা বলবে। এ কারণে যে মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করত না। (সূরা নামাল ৮২)
সালফে সালেহীন ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে এর কতিপয় গুণাবলী সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। যেমন, ইবনে আবী হাতিম তিনি হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণনা করেছেন, إن الدابة فيها من كل لون، ما بين قرنيها فرسخ للراكب. অর্থাৎ ভূতলের জন্তুটির গায়ের রঙ সব রঙের হবে। তার দুই শিংয়ের মধ্যমা আরোহীর জন্য সুদৃঢ় হবে। হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন, هي مثل الحربة الضخمة অর্থাৎ এটি ('র আকৃতি) বিরাটকার বর্শার ফলার ন্যায় হবে। হযরত আলী (রা) বলেছেন, إنها دابة لها ريش وزغب وحافر، وما لها ذنب، ولها لحية. অর্থ : "এটি এমন একটি জন্তু যার পালক থাকবে এবং কোমল কেশ আর (পশুর পায়ের ন্যায়) খুর বিশিষ্ট হবে। তার লেজ থাকবে এবং দাড়িও থাকবে।" এ হচ্ছে দাব্বাতুল আরদ্ব। কাদিয়ানি কাজ্জাব সম্প্রদায় যেটিকে অপব্যাখ্যা দিয়ে 'প্লেগের প্রাদুর্ভাব' বানিয়ে নাম দিয়েছে। এবার বুঝে থাকলে বলুন, এ মির্যাজি গোষ্ঠী কতবড় নিকৃষ্ট মানসিকতার হলে ইসলামি আকিদা বিশ্বাসের এমন জঘন্য অপব্যাখ্যা দিতে পারে!
১২- কাদিয়ানিদের আকিদা : আর্যজাতির দেবতা শ্রী কৃষ্ণ একজন নবী ছিলেন। আর আমি (মির্জা কাদিয়ানী) এ কলিযুগে সেই কৃষ্ণের একজন নমুনা বা অবতার। আমি আর্যদের আসমানি বাদশাহ'র প্রতিচ্ছায়া। (দেখুন রূহানী খাযায়েন - খন্ড ২২ পৃষ্ঠা ৫২১)।
খণ্ডনমূলক জবাব : আমার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করব না। বিজ্ঞ পাঠক! নিজেরাই চিন্তা করে দেখবেন, যে ব্যক্তি নিজেকে শীকৃষ্ণের রূপক (অবতার) দাবি করে আর যারা তার এ সব বালখিল্যপূর্ণ দাবি বিশ্বাস করে, তারা নিশ্চয় নিজ হাতে নিজের বিবেক হত্যাকারী বৈ নয়। উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্মে 'অবতার' বলতে কিছুই নেই। এ শব্দ গুলো অংশিবাদী মুশরিকদের কাছ থেকে দ্বার করা। পবিত্র ইসলাম ধর্ম এসব অংশিবাদী মতবাদ থেকে পবিত্র।
১৩-কাদিয়ানিদের আকিদা : কাদিয়ানী জামাতের বিশ্বাস মতে, ইসলামি রাজনীতি নাজায়েজ এবং হারাম। (নাউজুবিল্লা)।
খণ্ডনমূলক জবাব : জবাবে বলতে চাই যে, বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের দালালি করার জন্য মাহদিয়তের চরিত্রে অভিনয় করতে যার সামান্যতম আত্মমর্যাদায় বাধেনি, 'খোদা তা'য়ালার সাথে বিবি মরিয়মের প্রতিচ্ছবিতে নিজের সহবাস করার হীনগল্প তৈরি করতে যার শরম করেনি (মির্যার রচিত, কিশতিয়ে নূহ, পৃষ্ঠা নং ৪৭); তার পক্ষে তো সবই সম্ভব! বাকিটা আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম।
১৪-কাদিয়ানিদের আকিদা : উম্মতে মুহাম্মদিয়ার ৭৩ ফেরকার মধ্যে যে একমাত্র ফেরকাটি জান্নাতি, সে ফেরকা 'আহমদিয়া কাদিয়ানী জামাত'। (নাউজুবিল্লা)
খণ্ডনমূলক জবাব : মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। কারণ, যাদের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা খোদ নিজের ফতুয়ায় নিজেই কাফির হয়, তারা সেসব আবোলতাবোল কথাবার্তা বলবে আর তা শুনে মানুষ বিনোদন বোধ করবে এমনটাই স্বাভাবিক। তাদের জানা উচিৎ যে, রাসূল (সা) বলে গেছেন, এ উম্মত কখনো পথভ্রষ্টতার উপর একমত হবেনা। আমরা জানি যে, মির্যার জন্মের আগ থেকেই প্রায় ১৩ শত বছর অব্ধি এ উম্মত গত হয়েছে। সেই দীর্ঘ সময় ব্যাপী আরো বহুজনে 'নবুওত' এর দাবি করেছিল। উম্মতে মুহাম্মদিয়া সর্বসম্মত ভাবে সেসব নবুওত দাবিদারদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসলামি হুকুমত তাদের মিথ্যাবাদী ও মুরতাদ আখ্যা দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।কাজেই, বুঝা গেল নবুওত দাবিদারকে কাফির আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করা উম্মতে মুহাম্মদিয়ার সর্বসম্মত ফয়সালা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কি কাদিয়ানিধর্মের গোড়াপত্তন হওয়ার আগের সকল মুসলমানকে পথভ্রষ্ট বলতে পেরেছে? অবশ্যই না। সুতরাং এ কাদিয়ানিরা বড্ড কপট আর মিথ্যুক প্রমাণিত হল।
১৫- কাদিয়ানিদের আকিদা : কাদিয়ানিরা কথায় কথায় বলে থাকে, বর্তমান যামানার ইসলাম মোল্লাদের তৈরি ইসলাম। আসল ইসলাম নতুন নবী মির্জা গোলাম আহমদের প্রচারিত 'আহমদিয়া কাদিয়ানী জামাত' এর ইসলাম। (নাউজুবিল্লা)।
খণ্ডনমূলক জবাব : মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। কেননা, যারা কাফির, ইসলামে যাদের কোনো অধিকারই প্রতিষ্ঠিত নয়, দেশে দেশে যাদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা চলছে; তাদের কথাবার্তা তো এমন অশালীন হওয়াই যুক্তিক, তাই নয় কি? উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়াতে কাদিয়ানিদের 'স্বতন্ত্র ধর্মাবলম্বী' বলা হয়েছে। মির্যাকে 'নতুন ধর্মের প্রবর্তক' বলা হয়েছে।
১৬- কাদিয়ানিদের আকিদা : মির্যা কাদিয়ানীর মতে ঈসা (আ)-এর পিতা ছিলেন। (নাউজুবিল্লা) যেমন সে তার পুস্তকে লিখেছে :
کیونکہ اس مسیح ابن مریم اپنی باپ یوسف کے ساتھ بائیس سال تک لکڑی کا کام کرتا رہے
অর্থাৎ কেননা এ মাসীহ ইবনে মারিয়াম নিজ পিতা ইউসুফের সাথে বাইশ (২২) বছর অব্ধি কাঠুরির কাজ করত।" (রূহানী খাযায়েন ৩/২৫৪)।
খণ্ডনমূলক জবাব : সূরা আলে ইমরানের ৪৭ নং আয়াত সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছে, আল্লাহতালা হযরত ঈসা মাসীহকে বিবি মারিয়ামের গর্ভে কোনো পুরুষের স্পর্শ ছাড়াই (তথা পিতা বিহীন) দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।' প্রিয়পাঠক! ঈসা (আ)-এর পিতা থাকার দাবি তোলা পবিত্র কুরানের সাথে সুস্পষ্ট বিরোধ কিনা? কুরান এবং সহীহ হাদিসের কোথাও কি মির্যা কাদিয়ানির উপরিউক্ত বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে? অবশ্যই না।
১৭- কাদিয়ানিদের আকিদা : কাদিয়ানিরা বিশ্বাস করে যে, রাসূল (সা) এর মেরাজ স্বশরীরে হয়নি, স্বপ্নে হয়েছিল ।
খণ্ডনমূলক জবাব : আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা মতে, রাসূল (সা)-এর মেরাজ দু' পর্বে হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্বের মেরাজ স্বশরীরে ও জাগ্রত অবস্থায় হয়েছিল। বিশিষ্ট চারো ইমাম সহ সবাই একমত। সুতরাং কাদিয়ানিদের উপরিউক্ত দাবিও বাতিল।
১৮- কাদিয়ানিদের আকিদা : কাদিয়ানিরা বিশ্বাস করে যে, 'হুর' বলতে প্রকৃতপক্ষে কোনো রমণীকে বুঝায়না।
খণ্ডনমূলক জবাব : মন্তব্য করার মত যেন ভাষাই হারিয়ে পেললাম। পবিত্র কুরানের সূরা ওয়াক্বিয়া'র আয়াতগুলো (আয়াত নং ২২,২৩,২৪) সংশ্লিষ্ট তাফসীর সহ পড়ার আবেদন থাকল। আল্লাহতালা ইরশাদ করেন - وَحُورٌ عِينٌ -(তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ) كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ -( আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়) جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ -(তারা যা কিছু করত, তার পুরস্কারস্বরূপ)। এ তো গেল কুরানের বাণী। এছাড়া অসংখ্য হাদিসের বিরুদ্ধে গিয়ে কাদিয়ানিদের সেসব বানোয়াট আর মিথ্যার জবাব দেয়া শুধু সময়ের অপচয় বৈ কিছুনা।
১৯- কাদিয়ানিদের আকিদা : কাদিয়ানিদের দাবি, সূরা কাহাফে উল্লিখিত 'আসহাবে কাহাফ" এর দীর্ঘ বছর ঘুমে অবস্থান করার প্রচলিত ঘটনাটি ঠিক না। যদিও অধিকাংশ মুসলমান এমনটাই বিশ্বাস করেন।
খণ্ডনমূলক জবাব : সূরা কাহাফে উল্লিখিত 'আসহাবে কাহাফ" (গুহায় আত্মগোপনকারী সাত যুবক) এর দীর্ঘ ৩০৯ বছর ঘুমিয়ে থাকার অকাট্য কুরানি ঘটনাটি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। আল্লাহতালা এ সম্পর্কে বলেন - وَلَبِثُوا فِي كَهْفِهِمْ ثَلَاثَ مِائَةٍ سِنِينَ وَازْدَادُوا تِسْعًا 25 অর্থাৎ তারা তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অবস্থান করেছে।" কিন্তু কাদিয়ানিরা তা অস্বীকার করতে নিকৃষ্ট অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে। অথচ তাওয়াতূর ভাবে যে বিশ্বাস তিন স্বর্ণযুগ থেকে আমাদের পর্যন্ত অব্যাহত ভাবে চলে এসেছে সেটিকে সরাসরি অস্বীকার করা কিংবা বেঁকিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ভিন্ন মর্মার্থ নেয়া জিন্দিকের পরিচয়। জুরুরিয়াতে দ্বীনের অস্বীকারকারী হিসেবে ইসলাম থেকে খারিজ। সুতরাং কাদিয়ানিরা কুরানের এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলক ব্যাখ্যা দিয়ে নতুন অর্থ গ্রহণ করায় ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে।
উপসংহার : এ তো সামান্য কয়েকটি। এরকম বহু ইসলাম পরিপন্থী বানোয়াট মত ও বিশ্বাস তারা অন্তরে লালন করে থাকে যার সাথে প্রকৃত ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। যেজন্য পাকিস্তান (১৯৭৪ ইং), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব, ইরাক, মিশর সহ দুনিয়ার সকল মুসলিম দেশগুলোর ন্যায় আমাদের দেশ বাংলাদেশেও 'আহমদিয়া কাদিয়ানী জামাত' নামক এ দলটিকে নিষিদ্ধ করা হোক। সবাই ঈমানী দায়িত্ব মনে করে 'তাহাফফুজে খতমে নবুওত মুভমেন্ট' এর সাথে একতাবদ্ধ হোন। এ অরাজনৈতিক দলটি প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে, যেন কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয় ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এজন্য যেন সংসদে একটি আইনও পাস করা হয়। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ। ওয়াসসালাম।
(চলবে)

দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় হাটহাজারী মাদরাসার প্রশংসনীয় সাফল্যদাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় হাটহাজারী মাদরাসার প্রশংসনীয় সাফল্য

দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় হাটহাজারী মাদরাসার প্রশংসনীয় সাফল্য

===================

========


   বাংলাদেশ এর আওতায় দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স)এর কেন্দ্রীয় সার্টিফিকেট পরীক্ষায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর ছাত্ররা প্রশংসনীয় সাফল্য লাভ করেছেএতে পাসের হার গড়ে ৮৯.৮০% এবং জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষ মেধা তালিকায় দারুল উলূম হাটহাজারীর ৬ জন ছাত্র স্থান লাভ করতে সক্ষম হয়েছে
দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) উত্তীর্ণ ছাত্রদের পরিসংখ্যান হচ্ছে যথাক্রমে, তারতীব ৬ জন, মুমতায ৬১ জন, জায়্যিদ যিদ্দান ৩০৮ জন, যায়্যিদ ৫৬৪ জন এবং মকবুল ৪৮৫ জন
অন্যদিকে জামিয়ার আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স)এর অতিরিক্ত আরো ৬১০ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করেনএদের মধ্যে যায়্যিদ যিদ্দান ২৫ জন, যায়্যিদ ৩৭৬, মকবুল ১৮৮ জনগড়ে পাশের হার ৯৬.৫%
উল্লেখ্য, বিগত শিক্ষাবর্ষ- ১৪৩৭-৩৮ হিজরীর দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স)এর চূড়ান্ত সমাপনী পরীক্ষায় জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী থেকে ২,১৯৬ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করেনএর মধ্যে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর আওতায় ১,৫৮৬ জন এবং জামিয়ার আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় ৬১০ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়

জামিয়ার শিক্ষা বিভাগ থেকে ছাত্রদের এই সফলতায় গভীর সন্তোষ প্রকাশ করা হয়

শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭

" মুফতি-এ-আযম আমীমুল ইহসান বারকাতী রহ: " এর জীবন ও কর্ম


" মুফতি-এ-আযম আমীমুল ইহসান বারকাতী রহ: "



উপমহাদেশের যে কয়েকজন আলেমে দ্বীন তাদের সুতীè মেধায়, নিরলস অধ্যবসায় ও সুউচ্চ যোগ্যতার মাধ্যমে ইসলামের প্রাণকেন্দ্র আরব জগতকেও মুগ্ধ করতে সম হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সর্বপ্রথম খতিব (১৯৬৪-১৯৭৪) মুফতি সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারকাতী রহ:। তিনি ছিলেন একাধারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ ও মুফতি। ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের বহু উচ্চ মানসম্পন্ন গ্রন্থাবলির রচয়িতা ও সঙ্কলক। হজরত মুফতি সাহেব ১৯১১ সালের ২৪ জানুয়ারি সোমবার বিহার প্রদেশের মুঙ্গের জেলার অন্তর্গত পাঁচনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হাকিম আবদুল মান্নান রহ: ও মা সৈয়দা সাজেদা। তিনি চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন। বাবা ও মা উভয় সূত্রেই তিনি নাজিবুত্তারাফাইন। মুফতি সাহেবের জন্মের কয়েক মাস আগে তার দাদী একটি স্বপ্ন দেখলেন যে, তার নামের সাথে আমীমুল ইহসান রাখার সুসংবাদ দেয়া হলো। তার জীবনের প্রতিটি স্তরেই এই সুসংবাদপ্রাপ্ত নাম সার্থক প্রমাণিত হয়েছিল। মুফতি সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারকাতী রহ: তার বাবা ও চাচার কাছ থেকে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেন। পরে হজরত মুফতি সাহেব ভারতের বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত শাহ বারকাত আলী শাহ রহ:-এর মুরিদ হন। তাই মুফতি সাহেব নিজের নামের শেষে ‘বারকাতী’ কথাটি যুক্ত করেন। হজরত মুফতি সাহেব ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে কামিল (হাদিস) পরীায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন এবং ‘মুমতাজুল মুহাদ্দিসিন’ উপাধিপ্রাপ্ত হন । ১৯৩৪ সালে তিনি তার শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ মাওলানা মুফতি মুশতাক আহমেদ কানপুরী রহ: সাহেবের কাছ থেকে ‘মুফতি’ সনদ লাভ করেন। তখন থেকে তিনি ‘মুফত’ খেতাবে আখ্যায়িত হন। ১৯৩৫-৩৬ সালে কলকাতা সরকার তাকে ফতোয়া দেয়ার জন্য একটি সিলমোহর দেয়, যার মধ্যে লেখা GRAND MUFTI OF Calcutta তখন থেকে আজ অবধি মুফতি সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারকাতী অধিক সমাদৃত হন মুফতি-এ-আযম উপাধির মাধ্যমে। ১৯৩৪ সালে মুফতি সাহেবকে কলকাতার বৃহত্তর জামে মসজিদ ‘নাখোদা মসজিদ’-এর সহকারী ইমাম ও মাদরাসার প্রধান শিক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৩৫ সালে তাকে নাখোদা মসজিদের মাদরাসার দারুল ইফতার প্রধান মুফতির দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সময় তিনি ধর্মীয় ও সামাজিক সমস্যাকল্পে প্রায় লাধিক ফাতওয়া প্রদান করেন। এ সময় তার সুনাম ও যশ চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি নাখোদা মসজিদ ও দারুল ইফতার খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। হজরত মুফতি সাহেবের একটি অনন্য অর্জন রয়েছে, তিনি দুই বাংলার ঈদগাহতে ইমামতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কলকাতা থাকার সময় কলকাতা ঈদগাহে ইমামতি করেন এবং ১৯৫৫ সালে আলিয়া মাদরাসায় হেড মাওলানার পদে উন্নীত হওয়ার পর তৎকালীন ঢাকার প্রধান ঈদগাহ পুরানা পল্টন ময়দানে ঈদের জামাতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং কয়েক বছর পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৩ সালে মুফতি সাহেব কলকাতা আলিয়া মাদরাসার শিকতার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে আলিয়া মাদরাসা ঢাকায় স্থানান্তরিত হলে তিনি এই দেশে হিজরত করে আসেন। তখন তিনি নতুনভাবে ঢাকা আলিয়া মাদরাসায় অধ্যাপনার কাজে জড়িত হন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা আলিয়া মাদরাসার হেড মাওলানা পদে নিযুক্ত ছিলেন। পরে জ্ঞান-বিজ্ঞানের গ্রন্থ প্রণয়ন এবং ধর্মীয় কাজে প্রচুর সময় দেয়ার স্বার্থে ১৯৬৯ সালের ১ অক্টোবর ওই পদ থেকে অবসর নেন। ১৯৬৪ সালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রতিষ্ঠার পর তৎকালীন কমিটির চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া বাওয়ানীর অনুরোধে এবং মসজিদ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে তিনি সেই মসজিদের খতিবের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত এই মহান দায়িত্ব কৃতিত্বসহকারে পালন করেন। হজরত মুফতি সাহেব রহ: প্রতি শুক্রবার সেখানে জুমার নামাজ পড়াতেন এবং আরবিতে স্বরচিত খুতবা পড়তেন। আরব দেশ থেকে আগত অনেক উচ্চশিতি আলেম ও রাষ্ট্রনায়ক তার খুতবা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে যেতেন। হজরত মুফতি সাহেব সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের কাছে পরিচিত ও গৃহীত তা হচ্ছে তার কিতাবের মাধ্যমে। তার রচিত কিতাবের সংখ্যা ২৫০-এর অধিক। আরবি ও উর্দু ভাষায় তিনি অসংখ্য বই লিখেছেন। তবে তার মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা কম। তার যে বই সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রশংসনীয় এবং মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত তা হচ্ছে ‘ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার’। এ বইটি ৪০০-এর অধিক হাদিস ও শরাহ গ্রন্থের সার নির্যাস, যা হানাফি মাজহাব ও মতাদর্শের আলোকে রচিত হয়েছে। তার বইয়ের প্রশংসায় মাওলানা সাইয়্যেদ হোসাইন আহমেদ মাদানী রহ: বলেছেন, ‘আমি আজ পর্যন্ত ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার-এর মতো কিতাব দেখিনি। হানাফি মাজহাবের এটি একটি অতুলনীয় যুক্তিপূর্ণ দলিলভিত্তিক কিতাব।’ মুফতি সাহেবের আরেকটি বিখ্যাত বই হচ্ছে, ‘কাওয়ায়িদুল ফিকহ’ যাতে ফিকহ শাস্ত্রের মৌলিক উসূল ও পরিভাষাসমূহ আলোচিত হয়েছে। তার একটি অন্যতম রচনা হচ্ছে নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে তার রচিত নামাজের সময়সূচি অনুযায়ী নামাজের সময় ও ওয়াক্ত নির্ধারণ করা হয়। হজরত মুফতি সাহেব ঢাকায় আসার পর তার ভাই সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নোমান বারকাতির মাধ্যমে একটি পরিত্যক্ত মসজিদের কথা জানতে পারেন। পরে তিনি কলুটোলায় অবস্থিত সেই মসজিদটির পুনঃসংস্কার করেন এবং সেখানে নিয়মিতভাবে নামাজ পড়ার বন্দোবস্ত করেন। উল্লেখ্য মুফতি সাহেব নিজের জীবনে মোট তিনবার হজ করেন। সাইয়্যেদ বংশের এই উজ্জ্বল নত্র হজরত মুফতি সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান রহ: ১৯৭৪ সালের ২৭ অক্টোবর (১৩৯৫ হিজরির ১০ শাওয়াল) এ দুনিয়াবাসীকে বিদায় জানিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে জান্নাতবাসী হন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

হাদিস শরীফে "মাহদী" শব্দ :

হাদিস শরীফে "মাহদী" শব্দ :

------------------------------------------------------

মুসনাদে আহমদ কিতাবের একটি হাদিসে হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) সম্পর্কে বলা হল -
১- হাকামান আদালান (ন্যায়পরায়ণ শাসক)।
২- ইমামান মাহদিয়্যা (সুপথপ্রাপ্ত ইমাম)।
এবার আসুন সহীহ বুখারি'র ২৮৫৯ নং একটি হাদিসে বিশিষ্ট সাহাবী হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ সম্পর্কেও "মাহদী" শব্দ উল্লেখ হয়েছে,
১- আল্লাহুম্মা ছাব্বিতহু (হে আল্লাহ তুমি তাঁকে স্থির রাখ)।
২- ওয়াজ'আলহু হাদিয়ান মাহদিয়্যা (তাঁকে সুপথপ্রাপ্ত বানাও)।
#মাহদিয়্যা
--------
সম্পর্কিত তথ্য :
উপরের হাদিস দুটিতে দুজনের ব্যাপারে-ই "মাহদী" শব্দের উল্লেখ আছে। কারণ, আক্ষরিক অর্থে সুপথপ্রাপ্ত সবাই "মাহদী" হতে পারে। এটাই উক্ত হাদিসদ্বয় দ্বারা প্রমাণিত।
------
জ্ঞাতব্য :
কিন্তু কাদিয়ানিরা উপরের ১নং বর্ণনার বেঁকিয়ে ব্যাখ্যা দেয়। তদ্দ্বারা ঈসা মাসীহকে প্রকৃত অর্থে তথা প্রতীক্ষিত "মাহদী" সাব্যস্ত করার অপচেষ্টা করে। অথচ প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদী আহলে বাইয়েত থেকে হবেন, এমনটাই হাদিসে ভবিষৎবাণী রয়েছে। অথচ ইবনে মরিয়ম (আ) তিনি পুনজন্ম নেবেন না, নাযিল হবেন (সহীহ বুখারী, কিতাবুল আম্বিয়া দ্রষ্টব্য; হা/৩২৬৪)।
ফলাফল :
কাদিয়ানিদের অপব্যাখ্যার ফলে সহীহ বুখারীর হাদিসে "মাহদী" আখ্যাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাহাবী জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) তিনিও ইমাম মাহদী হয়ে যাচ্ছেন!
কাদিয়ানীদের নিকট এর জবাব কোথায়?
আমার সহযোদ্ধা জেনিয়াসরা কোথায়? তাদের জবাব দিতে বাধ্য করুন!

শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭

মির্যা কাদিয়ানীর ভবিষৎবাণী : আমার বংশ হতে একজন মাছীলে মাসীহ আকাশ থেকে অবতরণ করবে :
------
পুরনো দোস্ত আহমদ জিলানী। অনেক দিন পর আবার দেখা। ঢাকার কমলাপুরে প্রায় সময় আমার যাওয়া হয়। একদিন ইচ্ছে করি, বায়তুল মোকাররম মসজিদে মাগরিব সালাত পড়ে নিই। শুকরিয়া যে, সেখানেই আহমদ জিলানির সাথে দেখা হয়ে গেল। যথারীতি সালাত শেষ করে দু'জনই বেরিয়ে পড়লাম।
আমি বিশ্বাসই করছিলাম না যে, আহমেদ জিলানী বায়তুল মোকাররমে সালাত পড়তে আসতে পারে। কারণ, কাদিয়ানিদের জন্য অ-কাদিয়ানিদের পেছনে সালাত নিষিদ্ধ। (উল্লেখ্য, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে যারা নবী স্বীকার করবেনা তারা কাদিয়ানিদের ফতুয়া (?) মতে কাফির। দেখুন : রূহানী খাযায়েন : ২২/১৬৭) এজন্য আমার ভেতর কৌতূহল জাগল যে, আহমেদ জিলানী কী করে বায়তুল মোকাররম এল! তবে কি সে.....! আহমদ জিলানী আমার মনের অবস্থা টের পেয়ে যায়। লোকটি খুব সচেতন। সত্য অনুসন্ধানিও। কুরান সুন্নাহ ভিত্তিক যে কোনো আলোচনা তন্ন হয়ে শুনেন। সে আমার চোখের ভাষা বুঝতে পারল। বলল, দোস্ত! আর টেনশন করিসনা! আমি ঘরে ফিরে এসেছি।
বললাম, মানে? ----জাহান্নামের কিনারায় ছিলাম। যে কোনো মুহূর্তে জাহান্নামে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। মহান প্রভূর দরবারে কোটী কোটী শুকরিয়া, তিনি আমার অন্তর পালটে দিলেন। মিথ্যার ঘোর অন্ধকার থেকে রেহাই দিলেন।... বললেন, আহমেদ জিলানী।
আমি বললাম, কী হল খুইলা কও!
আহমেদ জিলানী আর তার দু'চোখের পানি আটকে রাখতে পারলনা। সে অবুঝ শিশুর মত কান্নাভঙ্গিতে বলতে লাগল, আমি প্রতারিত হয়েছিলাম। কাদিয়ানিয়ত/আহমদিয়তকে সঠিক ইসলাম মনে করে নিজের অজান্তে ঢুকে পড়েছিলাম। এভাবে দীর্ঘ ২ বছর কেটে যায়। এখন ভুল বুঝতে পেরে তাওবাহ করে ফিরে এসেছি। ভাই এখন আমার প্রতিটি মুহূর্তে মনে পড়ছে, যদি ওই অবস্থায় আমার মওত হত...!
তার কথাগুলো শুনার পর আমার পক্ষেও অশ্রু সংবরণ করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ সময় দু'জনে অবুঝ শিশুর মত কান্নাকাটি করলাম। খানিক পর নিজেকে নিয়ন্ত্রনে এনে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, দোস্ত! তুই এই প্রতারকদের হাতে নিজের এ মহামূল্য ঈমানটুকু তুলে দিতে কেন গেলি?
আবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল জিলানী। কান্না জড়িত অবস্থায় পুরো ঘটনা শুনাল। বলল, ইউনিভার্সিটি লাইফে এক ক্লাসমেটের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হলে সে আমাকে নানা ভাবে খুব ঘনিষ্ঠতার পরিচয় দিল। কিন্তু তার উদ্দেশ্য আমার জানা ছিলনা। সে আমাকে নিজের পরিচয় গোপন রেখে নানা বিষয়ে কথা শুনাত। ধর্ম সম্পর্কে নানা ব্যাখ্যা শুনাত। আমি যেসব বিষয়ে অবগত ছিলাম না সেসব বিষয়েই তাকে বেশি কথা বলতে দেখতাম। বন্ধুত্বের খাতিরে জোর করে হলেও তার কথা গুলো শুনতাম।
এক দিন সে ঢাকার বকশিবাজারে একটি অফিসে নিয়ে গেল। নামাযও তার সাথে পড়াল। কিন্তু কিছুতেই আমি স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। আবার তাকেও কিছু বলছিনা। যে ইমামের পেছনে আমাকে নামায পড়াল, তাকে দেখলাম কালো টুপি পরা আর মুখে খোঁচাখোঁচা দাঁড়ি। উনার সাথে আমাকে দেখা করিয়ে দিল। আমাকে বুঝাল, বর্তমানের ইসলাম মোল্লাদের বানানো ইসলাম। এ ইসলাম মেনে জান্নাত পাওয়া যাবেনা। মোল্লাদের ইসলামে ইসলামের নামে রাষ্ট্র দখলের আন্দোলন, সংগ্রাম আর ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ, অস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যা (জিহাদ) এসব করে জাহান্নামি হওয়া ছাড়া আর কোনো লাভ নেই। তাই আল্লাহ'র শুকরিয়া জ্ঞাপন করুন যে, তিনি আপনাকে আমাদের মধ্যে এনে দিলেন। আমরা একজন খলিফার নেতৃত্বে চলি। এভাবে নানা বিষয়ে উনারা আমাকে বুঝালেন। উলামায়ে হযরতদের বিরুদ্ধে সীমাহীন বিদ্বেষপূর্ণ কথাবার্তাও শুনালেন। ---বললেন, আহমেদ জিলানী।
এরপর আমি তাকে বললাম, তুমি কি তাদের পরিচয় জানতে চাওনি? তখন জিলানী দোস্ত বলল, তারা কোনো ভাবে প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করতে চায়নি। তবে তাদের বই পুস্তক পড়তে পড়তে তাদের ব্যাপারে আমি বুঝতে পারলাম যে, তারা মির্যা গোলাম আহমদ নামের কাউকে অনুসরণ করছে। কিন্তু লোকটি সম্পর্কে যখন তাদেরকে প্রশ্ন করি তখন বিভ্রান্তিকর উত্তর পেতে থাকি। তাদের অনেক মুরুব্বিকে জিজ্ঞেস করেও সুস্পষ্ট কোনো উত্তর পেলাম না। কেউ তাকে যামানার ইমাম মাহদী মনে করেন। কেউ, ঈসা মাসীহ আবার কেউ বা মাসীহে ঈসার অবতার। আবার কেউ কেউ তাকে নবীও মানেন। কিন্তু আমার জানা ছিল যে, হযরত মুহাম্মদ (সা) সর্বশেষ নবী। তাই তাদের সেসব কথাবার্তা আমাকে অনবরত সন্দেহের শেষ সীমায় নিয়ে গেল। আমি তাদের প্রকাশনী থেকে ২৩ খন্ডে প্রকাশিত মির্যার রচনা সমগ্রী 'রূহানী খাযায়েন' পড়তে শুরু করি। উক্ত বইয়ের ৩নং খন্ডের ১৭৯ এবং ১৮০ নং পৃষ্ঠায় এমন কিছু কথাবার্তা মির্যার জবানিতে পেলাম তা পড়ে বুঝতে আর বাকি থাকেনি যে, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মূলত আঠার শতকের জঘন্যতম একজন ধোঁকাবাজ ও ভন্ডনবী।
সে ওখানে কী লেখেছে? বললাম আমি।
প্রতিউত্তরে সে বলল, সেখানে মির্যা সাহেব লিখেছেন:
بلکہ خدا تعالیٰ نے ایک قطعی اور یقینی پیشگوئی میں میرے پر ظاہر کر رکھا ہے کہ میری ہی ذریت سے ایک اور شخص پیدا ہوگا جس کو کئی باتوں میں مسیح سے مشابہت ہوگی وہ آسمان سے اترے گا اور زمین والوں کی راہ سیدہی کر دے گا.
অর্থ : মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সাহেব লিখেছেন : খোদাতায়ালা একটি অকাট্য ও বিশ্বাসযোগ্য ভবিষৎবাণীতে আমার প্রতি প্রকাশ করলেন যে, আমার বংশধর হতে এক ব্যক্তি জন্ম নেবে। যিনি কতেক ক্ষেত্রে মাসীহ ঈসা'র সাথে সামঞ্জস্যতা রাখবে ও সে আকাশ থেকে অবতরণ করবে এবং দুনিয়াবাসির পথ সোজা করে দেবেন তথা হিদায়াতের পথ দেখাবেন।" (রূহানী খাযায়েন : ৩/১৮০; ইযালাতুল আওহাম ১ম খন্ড; ১৫৬ নং পৃষ্ঠা।) স্কিনকপি পোস্টের নিচে দেখুন!
----
উপরে মির্যা সাহেব নিজেই নিজের কথিত ভবিষৎবাণীতে সুস্পষ্টভাবে বলে গেছেন, তার বংশধর তথা মির্যা বংশের একজন কথিত মাছীলে
মাসীহ জন্ম নেবে এরপর সে আকাশ থেকে অবতরণ করবে। যাকে তিনি অকাট্য এবং এক্বিনি বলেই ব্যক্ত করেছেন। অথচ ইতিপূর্বে আমাকে অত্যাধিক যুক্তি আর কুরানের নানা আয়াতের ব্যাখ্যা দ্বারা বুঝানো হত যে, কোনো মানুষের পক্ষে আকাশে উঠা সম্ভব নয়। যদি তা সম্ভব হত তাহলে ইসলামের পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদ (সা) তিনি সর্বপ্রথম এ সম্ভবপর কাজটি করে উম্মতকে দেখাতেন। এতে করে উনারা আমাকে সর্বশেষে যে কথা বুঝাতে চেষ্টা করেছেন তা ছিল, মুসলমানের বিশ্বাস, বনী ইস্রাইলের নবী হযরত ঈসা ইবনে মারিয়ম (আ) আকাশে থাকা এবং কেয়ামত পূর্ব মুহূর্তে দুনিয়াতে আকাশ থেকে অবতরণ করা সত্য নয়। (নাউজুবিল্লা)।
অথচ মির্যা সাহেব তার বইতে তার বংশধর হতে একজন জন্ম হয়ে আকাশ থেকে অবতরণ করে আসার সুস্পষ্ট ভবিষৎবাণী দিয়ে রেখেছেন। যা প্রকারান্তরে কাদিয়ানী মুরুব্বিদের সেসব অহর্নিশি যুক্তি আর ব্যাখ্যাকে অসার এবং মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করল।
আর যদি কাদিয়ানী তার্কিক ও মুরুব্বিদের সেসব যুক্তি আর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকে সঠিক ধরা হয় তাহলে অকপটে স্বীকার করতে হবে যে, তাদের যুক্তি এবং ব্যাখ্যা অনুসারে মির্যা কাদিয়ানী সাহেবের ভবিষৎবাণী ভুল এবং মিথ্যা। কিন্তু আমি কারো নিকট তাদের এসব স্ববিরোধী আর বিভ্রান্তিকর কথাবার্তার সুষ্ঠু সমাধান পেলাম না। যার ফলে আমি বুঝলাম যে, এ কাদিয়ানী জামাত একটি ধুর্ত ও ঈমান চোর জামাত। তাই এ ঈমান চোর জামাত ত্যাগ করে তাওবাহ পড়ে আবার ঘরে ফিরে আসতে বাধ্য হলাম।
বললেন, আহমদ জিলানী।
আমি : আল্লাহ আপনার মত সবাইকে এ ঈমান চোরের জামাতের ধোঁকাবাজি বুঝার তাওফিক দিন, আমীন।
-----
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কলেরায় আক্রান্ত হওয়া এবং পায়খানায় মৃত্যুবরণ করার তাত্ত্বিক ঘটনা পড়ুন : www.markajomar.com/?p=3520
------
লেখক, প্রিন্সিপ্যাল নূরুন্নবী।
হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী মহাপরিচালক মনোনীত হওয়ায় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি নুর হুসাইন নুরানীর অভিনন্দন

+++++++++++++++++++++++++++++
 আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী সাহেব এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী মহাপরিচালক হিসাবে মনোনীত হওয়ার খতমে নবুওয়াত  আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি নুর হুসাইন নুরানী আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সাথে সাথে শুরার এই সিদ্ধান্তকেও মোবারকবাদ জানিয়ে আজ এক বিবৃতিতে  মুফতি নুরানী বলেন, দীনের প্রচার প্রসারে হাটহাজারী মাদরাসার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। শুধু দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী এই মাদরাসার ফারেগীনরা দীনের মহান খেদমত আন্জাম দিয়ে যাচ্ছে।

এই প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফি দেশের সকল ওলামা হজরতের মুরুব্বি। তিনি দীর্ঘ দিন অসুস্থ, আমি তার সুস্থতা কামনা করছি। তার অনুপস্থিতিতে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী যোগ্যতা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ জিম্মাদারী আদায় করতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আল্লাহ আল্লামা বাবুনগরীকেও কবুল করুন, আমীন।

☎বাংলাদেশের কিছু বক্তাদের মোবাইল নাম্বার।■
++++++++++++++++++++++++++++++++
👉 মাওলানা মুফতি নুর হুসাইন নুরানী ঢাকা।
📞০১৭১১১৫৯৬৭৫

👉মাওঃ খোরশেদ আলম কাসেমী ঢাকা
📞০১৭১১৩১১৫০৪

👉মাওঃ জুনায়েদ আল হাবিব বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১১১২৫৪৯৭

👉মাওঃ যুবায়ের আহমদ আনসারী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১৫২১৬১৩১

👉মাওঃ মুজিবুর রহমান চাঁদপুর
📞০১৮১৯৩৬৯৬১২

👉আল্লামা ড. মুশতাক আহমদ ঢাকা
📞০১৭১৫৪৩৭৪৪৫

👉মাওঃ ইয়াহইয়া মাহমুদ ফরিদপুর
📞০১৮১৯২১৯৩৭৪

👉মাওঃ খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী মানিকগঞ্জ
📞০১৭১১৩৭৯৫১২

👉মাওঃ হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকী কুয়াকাটা
📞০১৭১৭৩০৩২৩৫

👉মাওঃ আজিজুল ইসলাম জালালী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১১৯৮৯৯৪৭

👉মাওঃ মেরাজুল হক কাসেমী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১১৩৬২৫৭৯

👉মুফতী মুহসিনুল করিম বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১৮৫৬৭৫১৫

👉মাওঃ আব্দুল বাসেত খানঁ সিরাজগঞ্জ
📞০১৭১১০৪৯৮৪৫

👉মাওঃ আব্দুল খালেক সাহেব শরিয়তপুরী
📞০১৭১৭১৩৯৭০৪, 📞০১৭৪৬৬৪৪৪৩১

👉মুফতী ওয়ালী উল্লাহ নেত্রকোনা
📞০১৭১১০১০২৭৬

👉মাওঃ সিরাজুল ইসলামা সিরাজী (নবমুসলিম) ঝালকাঠি
📞০১৭১২১৫৬২০৩

👉মুফতী উসমান গণী মুছাপুরী মাগুরা থাকেন ঢাকায়
📞০১৭৩৯৭৪২৪৪১

👉মাওঃআবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর (চাঁদপুর)
📞০১৬২৭৯৯৯১৯৭, 📞০১৮২১৩৮৭৭৯৭

👉মুফতী শিহাবুদ্দীন চাঁদপুরী
📞০১৮৭৭৬৮০৯১৫

👉মুফতী মুসতাঈন বিল্লাহ আল-উসওয়ায়ী মাগুরা (থাকেন,ঢাকায়)
📞০১৭৫৪৯১৭৩২১, 📞০১৯২১৪২৬৯৭৮

👉মাওঃ আশরাফ আলী হরষপুরী হবিগঞ্জ
📞০১৭১৭১৩৯৭০৪

👉মাওলানা জাকারিয়া নাটোর
📞০১৭১১৪৬৬০৬৩

👉মুফতী অামজাদ হোসাইন অাশরাফী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১৬৫২৫৩৩৫

👉মুফতী আনোয়ার হোসাইন চিশতী নরসিংদী
📞০১৮১৯১৫২৫১৩

👉মাওঃ আতিকুল্লাহ বি-বাড়ীয়া
📞০১৮১৯১৩৩৪০৬

👉মাওঃ বশির আহমদ বি-বাড়ীয়া
📞০১৭২০২২৩০৮৬

👉মাওঃ সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী হবিগঞ্জ
📞০১৭১১৪৪৭৭৭০

👉মাওঃ রিজওয়ান রফিকী যশোর
📞০১৯২০২৯৩২৬৪

👉মাওঃ আবরারুল হক হাতেমী মুন্সিগঞ্জ
📞০১৭৮০০৮০০৪০

👉মাওঃ রাফি বিন মুনির সিলেট
📞০১৭৩৭১১৮৮৭৮

👉মাওঃএমঃআনোয়ারুল ইসলাম জাবেরী বরগুনা
📞০১৭১৬৮৯২৪৪১

👉মাওঃ ইসলাম উদ্দিন ফারুকী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১২৭৩৭৭০১

👉 মুফতী শেখ হামীদুর রহমান সাইফী ঢাকা
📞০১৭২৬৪৬৮২৫৫

👉মাওঃ আজহারুল ইসলাম আজমী কিশোরগঞ্জ
📞০১৭১২৯০৪৫০৩

👉মাওঃ কামাল উদ্দিন দায়েমী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১১৪৭১৯০৬

👉মাওঃ কামাল উদ্দিন কাসেমী বি-বাড়ীয়া
📞০১৮১৮২৬৭৪৯৭

👉মুফতী রুহুল আমিন নুরী বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ
📞০১৭১২৮০৪৭৮৮

👉মাওলানা মাজহারুল ইসলাম মাজহারী নরসিংদী
📞০১৬৭০৫১৭৯৪৪

👉মাওঃ মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস কুয়াকাটা
📞০১৭৪২৪১৭৫৮৫

👉মুফতী এহসানুল হক জিলানী বি-বাড়ীয়া
📞০১৮১৪১০০০০০

👉মাওঃ মাহবুবুর রহমান জিহাদী চাঁদপুর
📞০১৭১৫৬৬১৮১৭

👉মুফতি আব্দুল হক আমিনী কুমিল্লা
📞০১৮১৯ ৯২৫৫৯৫

👉মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী
📞০১৭১২৮৩৩৭৬০

👉মাওঃ মোঃ ইসমাঈল বুখারী কাশিয়ানী
📞০১৭১১০৫৬১১৬

👉মাও:জয়নুল আবেদীন হাবিবী যশোর
📞০১৭২১৫৮৭৫০৪

👉মুফতী মাহমুদুল্লাহ আতিকী ঢাকা
📞০১৭৩২৩১৬০০৯

👉মাওঃ ইউসুফ বিন এনাম শিবপুরী নরসিংদী
📞০১৭৩৪৬৩৫৫২৯

👉মাওঃ শাববীর আহমদ উসমানী সুনামগঞ্জ
📞০১৭২০৮২৫৭২৫

👉মুফতী জাহিদুল ইসলাম যায়েদ যশোর
📞০১৭৮২২৭২৭৮৫

👉মাওঃ আব্দুল কাইয়ুম জামী কিশোরগঞ্জ
📞০১৭১২৫৭৮৬১০

👉মাওঃআবুল কালাম আজাদ চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ
📞০১৭১৬৯২৭০১৭

👉মাওঃ ইসমাইল হোসাইন সিরাজী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১৪৫৮৩৮৩৯

👉মাওঃ নুরে আলম আশরাফী বি,বাড়িয়া
📞০১৭১২৮৯৬০৮০

👉মুফতী আব্দুর রহিম হেলালী লহ্মিপুর
📞০১৭১১০৬১০৭৫

👉মুফতী ওমর ফারুক যুক্তিবাদী কুমিল্লা
📞০১৭১০০৭০৫৫৩

👉মাওঃ মুশাহিদ আহমদ উজিরপুরী সিলেট
📞০১৭২৫২৯৮৯৩৫

👉মাওঃ কাজিম উদ্দীন( অন্ধ হাফেজ)মোমেনশাহী
📞০১৭১৬১৮২৩৯৯

👉মাওঃ ফেরদাউসুর রহমান নারায়নগঞ্জ
📞০১৭১১৯০৬৩২৬

👉মাওঃ মুফতী হারুনুর রশিদ
📞০১৯১৮৪২০৩৭১

👉হাফেজ মাওঃ আবুল কাসেম চাঁদপুর
📞০১৯২৩২২৬৮৩৫

👉মাও. মুফতি জাফর আহমাদ
📞০১৭১০০৮৮০৬৩

👉মাও.নুরে আলম আশ্রাফি সিলেট
📞০১৭১২৮৯৬০৮০

👉মাওঃ খোরশেদ আলম কাসেমী ঢাকা
📞০১৭১১৩১১৫০৪

👉মাওঃ যুবায়ের আহমদ আনসারী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১৫২১৬১৩১

👉মাওঃ মুজিবুর রহমান চাঁদপুর
📞০১৮১৯৩৬৯৬১২

👉আল্লামা ড. মুশতাক আহমদ ঢাকা
📞০১৭১৫৪৩৭৪৪৫

👉মাওঃ ইয়াহইয়া মাহমুদ ফরিদপুর
📞০১৮১৯২১৯৩৭৪

👉মাওঃ আজিজুল ইসলাম জালালী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১১৯৮৯৯৪৭

👉মাওঃ মেরাজুল হক কাসেমী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১১৩৬২৫৭৯

👉মুফতী মুহসিনুল করিম বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১৮৫৬৭৫১৫

👉মাওঃ আব্দুল বাসেত খানঁ সিরাজগঞ্জ
📞০১৭১১০৪৯৮৪৫

👉মুফতী ওয়ালী উল্লাহ নেত্রকোনা
📞০১৭১১০১০২৭৬

👉মাওঃ আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর (চাঁদপুর)
📞০১৬২৭৯৯৯১৯৭,📞০১৮২১৩৮৭৭৯৭

👉মাওঃ আশরাফ আলী হরষপুরী হবিগঞ্জ
📞০১৭১৭১৩৯৭০৪

👉মাওঃ জাকারিয়া নাটোর
📞০১৭১১৪৬৬০৬৩

👉হাঃমাওঃআবুল হাসান (সাদী) সিলেট
📞০১৭১৫৪১৭১৮৬

👉মুফতী অামজাদ হোসাইন অাশরাফী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১৬৫২৫৩৩৫

👉মুফতী আনোয়ার হোসাইন চিশতী নরসিংদী
📞০১৮১৯১৫২৫১৩

👉মাওঃ আতিকুল্লাহ বি-বাড়ীয়া
📞০১৮১৯১৩৩৪০৬

👉মাওঃ বশির আহমদ বি-বাড়ীয়া
📞০১৭২০২২৩০৮৬

👉মাওঃ সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী হবিগঞ্জ
📞০১৭১১৪৪৭৭৭০

👉মাওঃ আবরারুল হক হাতেমী মুন্সিগঞ্জ
📞০১৭৮০০৮০০৪০

👉মাওঃএমঃ আনোয়ারুল ইসলাম জাবেরী বরগুনা
📞০১৭১৬৮৯২৪৪১

👉মাওঃ ইসলাম উদ্দিন ফারুকী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১২৭৩৭৭০১

👉মুফতী শেখ হামীদুর রহমান সাইফী ঢাকা
📞০১৭২৬৪৬৮২৫৫

👉মাওঃ আজহারুল ইসলাম আজমী কিশোরগঞ্জ
📞০১৭১২৯০৪৫০৩

👉মাওঃ কামাল উদ্দিন দায়েমী বি-বাড়ীয়া
📞০১৭১১৪৭১৯০৬

👉মাওঃ কামাল উদ্দিন কাসেমী বি-বাড়ীয়া
📞০১৮১৮২৬৭৪৯৭

👉মুফতী রুহুল আমিন নুরী বাজিতপুর কিশোরগঞ্জ
📞০১৭১২৮০৪৭৮৮

👉মাওলানা মাজহারুল ইসলাম মাজহারী নরসিংদী
📞০১৬৭০৫১৭৯৪৪

👉মাওঃ মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস কুয়াকাটা
📞০১৭৪২৪১৭৫৮৫

👉মুফতী এহসানুল হক জিলানী বি-বাড়ীয়া
📞০১৮১৪১০০০০০

👉মাওঃ মাহবুবুর রহমান জিহাদী চাঁদপুর
📞০১৭১৫৬৬১৮১৭

👉মুফতি আব্দুল হক আমিনী কুমিল্লা
📞০১৮১৯ ৯২৫৫৯৫

👉 হাফেয মাও. নুরুল হক কক্সবাজার।
📞০১৮১৫ ৫৮১৯৩৯
👉মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী
📞০১৭১২৮৩৩৭৬০

👉মাওঃ মোঃ ইসমাঈল বুখারী কাশিয়ানী
📞০১৭১১০৫৬১১৬

👉মাও: সালমান আহমদ আফতাবী সিলেট
📞০১৭৪৮৬৭৪২২৩

👉মুফতি ওসমান গণি মুছাপুরী মাগুরা
📞০১৭৩৯৭৪২৪৪১

👉 হাফেয মাও. হারুনুর রশিদ কক্সবাজার।
📞০১৮৭৮৯২০৬৭৭
কোন জামিয়ার নির্ধারিত ফি. দিতে অক্ষম হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
০১৮১৯-৯৯৫৫২৮
জামিয়া কোরআনিয়া দারুল উলুম ওসমানাবাদ লোহাগাড়া চট্টগ্রাম
#রাখিব_নিরাপদ_দেখাব_আলোর_পথ।
+++++++++++++++++++++++++
♦ভর্তি চলিতেছে! 
♦ভর্তি চলিতেছে!! 
♦ভর্তি চলিতেছে!!!
দক্ষিণ চট্টলার ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ বহুমুখী দীনি দরসগাহ #জামিয়া_কুরআনিয়া _দারুল_উলূম_ওসমানাবাদ_ মাদরাসাতে গত সোমবার থেকে ভর্তি কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে।
♦জামিয়ার বিভাগ সমূহ♦
+++++++++++++++++++
১. হিফজ বিভাগ। (আন্তর্জাতিক মানের হিফয শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত)
২.#নুরানী_বিভাগ 
(নার্সারী শিশু শ্রেণী থেকে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত।
৩. #কিতাব_বিভাগ। ( ইয়াজ দাহুম (প্রথম শেণী থেকে কাওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদীস ( মাস্টার্স সমমান) পর্যন্ত। 
৪. #মুতাফাররেকা_বিভাগ।
(হিফয সমাপ্তকারী হাফেযদের জন্য।
১ বছরে মিযান জামাত পযর্ন্ত) 
৫.#তাখাসসুস_ফিল_ফিকহীল_ইসলামী। (এক বছর মেয়াদী ইফতা বিভাগ)
দক্ষিণ চট্টলার লোহাগাড়া, সাতকানিয়ার সর্বপ্রথম দাওরায়ে হাদীস সমাপ্তকারী আলেমদের জন্য এক বছর মেয়াদী #ফতওয়া_বিভাগ।
#ভর্তি_শুরু - ৭ ই শাওয়াল ১৪৩৮ হিজরী সোমবার। থেকে।
ভর্তি চলবে ১৬ শাওয়াল পর্যন্ত ১৪৩৮ হিজরী মঙ্গলবার পর্যন্ত।
#দরস_শুরু- ১৭ শাওয়াল ১৪৩৮ হিজরী রোজ বুধবার।
বি. দ্র. দরস শুরুর পূর্বে ১০ দিন ব্যাপী #নাহাব_ছরফের প্রয়োজনীয় বিষয়াদির প্রশিক্ষণ কোর্স।
আল্লাহ তা'আলা আমাদের প্রিয় জামিয়াকে কবুল করুন।
উত্তরোত্তর সফলতা-অগ্রগতি দান করুন। এই জামিয়াকে আল্লাহওয়ালা উস্তাদ-ছাত্রদের মাবদা বানিয়ে দিন। 
আমীন!

শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭

দারুল উলূম দেওবন্দে যারা পড়তে যাচ্ছেন তাদের করণী।


দারুল উলূম দেওবন্দে যারা পড়তে যাচ্ছেন তাদের করণী। 

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------

উপমহাদেশের সর্বোচ্চ দীনি বিদ্যাপীঠ হিসেবে খ্যাত, কওমি মাদরাসার সূতিকাগার ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের পড়ার স্বপ্ন প্রতিটি কওমি পড়ুয়া তরুণের। কিন্তু আজকাল ভিসা বা এ সংক্রন্ত জটিলতায় অনেকেই তাদের স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হন। আবার অনেকে পথ ঘাট পেলেও দেওবন্দে পৌঁছতে নানা রকম ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়। এখানে যারা দেওবন্দে পড়তে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো। কাজগুলো এভাবে করলে সহজ হবে।
যেভাবে যেতে হবে
১. ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা হতে পারে। স্টুডেন্ট ভিসা নাও মিলতে পারে। সে জন্য ১ বছর মেয়াদি একটা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে নিন।
এক্ষেত্রে মিথ্যা, ধোকা বা কারচুপির আশ্রয় নেয়া ঠিক হবে না। আহলে ইলম ও ওয়ারিছীনে নবীর জন্য এরূপ করা অন্যায় হবে। মনে রাখবেন, দারুল উলূম দেওবন্দে পড়া বা ভর্তি হওয়া শরীয়তের ফেকহী দৃষ্টিতে মুস্তাহাবও নয়। আবার এমনও নয় যে, সেখানের জ্ঞান এ দেশে হাছিল করা যায় না। সেখানে যাওয়া ও ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়া মানে হলো ব্যক্তির একটি আবেগ ও তামান্না পূরণ হওয়া। অতএব এর জন্য মিথ্যা, ধোকা বা কারচুপির আশ্রয় নেওয়া আদৌ জায়েয হবে না।
২. আসার ক্ষেত্রে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে প্লেনে আসাই ভালো। এক্ষেত্রে স্মরণ করে ভিসায় ‘বাই-এয়া’ অপশন দিতে ভুলবেন না। আর ট্রেনে আসলে কলকাতা থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস দিয়ে দিল্লী পর্যন্ত আসতে পারেন। পরে দিল্লী থেকে অন্য ট্রেনে দেওবন্দ। অথবা কলকাতা থেকে অন্য ট্রেন আছে সাহারানপুরের, যেমন আমৃতসর এক্সপ্রেস৷
স্মরণ রাখবেন! সাহারানপুর থেকে দেওবন্দ বাস আছে৷ আবার দিল্লী মারকাজ মসজিদ টু সরাসরি দেওবন্দ বাস আছে৷
৩. আসার ক্ষেত্রে কলকাতায় এসে ট্রেনের টিকিট কাটতে UP যাবো না বলাই ভাল৷ পরিস্কার বলবেন উত্তর প্রদেশ “সাহারানপুর” যাবো।
৪. আসার সময় যতটুকু সম্ভব সামান কম আনুন। যাতে ইমেগ্রেশনে ঝামেলা পোহাতে না হয়।
৫. আসার সময় স্মরণ করে কলকাতায় এসে একটা সিম কিনে নিন। অন্যথায় বিপদাপদে সাথী ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না আর দেওবন্দ আসার আগ পর্যন্ত সিমও কিনা সম্ভব হবে না।
কখন আসবেন?
সম্ভব হলে শা’বানের ভেতরেই আসা ভালো। যেহেতু আসার পর বাংলাদেশী ছাত্রদের কিছুটা ভেতরগত ঝামেলা পোহাতে হয়। তাছাড়া থাকার (পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়) জন্য সিটের সুবিধারও একটা ব্যাপার আছে।
ভর্তি পরিক্ষার্থীর সংখ্যা
পাঁচহাজারেরও অনেক বেশি। পর্যায়ক্রমে প্রতিবছর তা বাড়ে।
নতুন ছাত্র কতজন
নতুন ১০০০ জন ভর্তি নেয়া হয়। (এর মধ্যেও আবার দেশ ও স্টেইটভিত্তিক কোটা এবং তাকাবুল তো আছেই)
পরীক্ষা
কি কি কিতাব পরীক্ষা নেয়া হয়?
১. মিশকাত ২. হেদায়া ৩-৪ ৩. শরহু নুখবাতিল ফিকার ৪. শরহুল আকাঈদ ৫. সিরাজি। (সব লিখিত)
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে
১. উত্তরপত্র ফুল আরাবিতে দিন।
২. উর্দূ এবং আরাবি সুন্দর খতে লিখুন।
আর বেশি করে শেষ রাত্রিতে তাহাজ্জুদ পড়ে মাওলার দরবারে অশ্রু বিসর্জন দিন। স্মরণ রাখবেন! যোগ্যতা বলে কখনো কিচ্ছু হয় না যদি মাওলার রেজা না থাকে। আর দেওবন্দ’র ইতিহাস তো জানা আছেই।
পরীক্ষা শুরু
১৩ শাওয়াল। প্রতি পরীক্ষার আগে একদিন খালি আছে।
দাখেলা না পেলে
এই নিয়ত এখনি বাদ দিন। কেনো হবে না? মাওলা তো আছেন ই। আর একান্তই যদি দাখেলা না পান তাহলে ভিন্ন ব্যবস্থা আপনি নিজেই সেখানে করে নিতে পারবেন।
ছাত্রের জন্য দেওবন্দ কর্তৃক সুবিধাদি!
১. ভর্তি, কিতাব, থাকা-খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি।
২. মাসে ২০০ রুপি বৃত্তি।
৩. শীতে কম্বল। পুরাতন ছাত্রদের জন্য আদিকালের ঐতিহ্য ধরে রাখতে লেমটন’র জ্বালানি তৈল এবং ঝাড়ু’র টাকা।
৪. একটা সিট।একটা আলমারি।

আন্তর্জাতিক ওয়েব সাইট মির্যা কাদিয়ানী সম্পর্কে কী বলে দেখুন!


আন্তর্জাতিক ওয়েব সাইট মির্যা কাদিয়ানী সম্পর্কে কী বলে দেখুন!

-----
মির্যা গোলাম আহমেদ (উর্দু: مرزا غلام احمد, ਮਿਰਜ਼ਾ ਗੁਲਾਮ ਅਹਮਦ; ফেব্রুয়ারি ১৩, ১৮৩৫ - মে ২৬, ১৯০৮) একজন বিতর্কিত ভারতীয় ধর্মীয় নেতা, এবং আহ্‌মদিয়া মুসলিম জামাত নামক এক ধর্মের প্রবর্তক। তাঁর দাবী মতে তিনি ১৪ শতাব্দীর মুজাদ্দেদ (আধ্যাত্মিক সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ, মাহদী এবং খলীফা। তিনি একজন উম্মতি নবী হিসেবেও নিজেকে দাবী করেন এবং তার সপক্ষে কুরআনের বহু আয়াত এবং মোজেজা পেশ করেন।
------
উইকিপিডিয়া থেকে দেখু...
আরো দেখুন
) একজন বিতর্কিত ভারতীয় ধর্মীয় নেতা, এবং আহ্‌মদিয়া মুসলিম জামাত নামক এক ধর্মের প্রবর্তক। তাঁর দাবী মতে তিনি ১৪ শতাব্দীর মুজাদ্দেদ (আধ্যাত্মিক সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ, মাহদী এবং খলীফা। তিনি একজন উম্মতি নবী হিসেবেও নিজেকে দাবী করেন এবং তার সপক্ষে কুরআনের বহু আয়াত এবং মোজেজা পেশ করেন।
bn.wikipedia.org

সিরিয়ার এই তিনটি ঘটনা যুগ যুগ ধরে মুসলিম জাতিকে প্রেরণা দিয়ে যাবে..


সিরিয়ার এই তিনটি ঘটনা যুগ যুগ
ধরে মুসলিম জাতিকে প্রেরণা দিয়ে যাবে...

. ১. একটি শিশু তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগ মুহুর্তে বলেছিলো,
"আমি আল্লাহকে সবকিছু বলে দিবো!"
.
২. বিমান হামলায় বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে একজন তরুণী বলেছিলো, "প্লিজ আংকেল! আল্লাহর দোহাই, আমার ছবি তুলবেন না; আমি এই মুহুর্তে হিজাব পরিহিতা নই!"
.
৩. একটি শিশু ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেছিলো, "ও আল্লাহ, আমি মরতে চাই! আমাদের কোন রুটি নেই কেন? আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাও যাতে আমরা রুটি খেতে পারি!"...
:
সুতরাং আমাদের মধ্যে যতো কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন সর্বদা মহান আল্লাহ্ কে সব সময় স্বরণ করবো,,,হে আল্লাহ্ আমাদেরকে কুরআন ও সুন্নাহ্ র পথে চলার তৌফিক দান করুন...(আমিন)


কাদিয়ানিদের আরেকটি মস্ত বিভ্রান্তির খন্ডন ও দাজ্জালকে ঈসা মাসীহ (আ) কর্তৃক হত্যা করা প্রসঙ্গ :-


কাদিয়ানিদের আরেকটি মস্ত বিভ্রান্তির খন্ডন ও দাজ্জালকে ঈসা মাসীহ (আ) কর্তৃক হত্যা করা প্রসঙ্গ :-

=======================================================================
নবুওতের দাবিদার মির্যা কাদিয়ানীর অনুসারিদের আহমদিয়া /কাদিয়ানী বলা হয়। তাদের ভুল ও ইসলাম বিরুধি আকিদার ফিরিস্ত অনেক দীর্ঘ। ওরা বুঝতে চায় না, তবে বুঝাতে চায় খুব। ওদের যেন বোধ উদয় হয়, যেন মির্যা কাদিয়ানির ধোঁকাবাজি উপলব্ধ হয় এ দোয়া করছি।
ওদের বুঝানো হয়েছে যে, দাজ্জাল বলতে খ্রিষ্টান মিশনারি উদ্দেশ্য। কিন্তু ওদের যখন প্রশ্ন করা হল যে, বর্তমানে কি খ্রিষ্টান মিশনারি নেই? বলল, জ্বী আছে। তখন আবার জিজ্ঞেস করা হল, মির্যা সাহেব যদি আপনাদের বিশ্বাস অনুসারে প্রতিশ্রুত মাসীহ হন তাহলে "দাজ্জাল" নামক খ্রিষ্টান মিশনারিদের খতম না করে তার আগেই তিনি মারা গেলেন কিজন্য?
অথচ মাসীহ মাওঊদ দুনিয়াতে আগমন করে দাজ্জালকে খতম করবেন, তারপর মাসীহ (আ) ইন্তেকাল করবেন; এমন নয় কি?
তখন আহমদি বা কাদিয়ানিদের মুখরক্ষা করার মত আর কোনো সঠিক উত্তর খুঁজে পেলনা।
শেষরক্ষা হিসেবে জনৈক কাদিয়ানী পণ্ডিত উক্ত প্রশ্নের প্রতিউত্তরে আমাকে বললেন, দাজ্জালকে হত্যা করা হবে এমন কথা কোথায় আছে? আমি বললাম, তার মানে আপনি কী বুঝাতে চাইছেন?
তখন তিনি অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি গল্প শুনালেন। গল্পটি হল, দাজ্জাল তথা খ্রিষ্টান মিশনারি কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। ঈসা মাসীহ তাকে হত্যা নয়, বরং বধ করার জন্য আসবেন। মির্যা সাহেব ১৮৯১ সালে পাকিস্তানের লুধিয়ানা শহরে দাজ্জালকে বধ করেছেন। এ ধারা কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।
আমি বললাম, "বধ" মানে কী? তখন তিনি বুঝালেন, এর মানে হল, তাদের ত্রিত্ববাদের খন্ডন করে পরাজিত করা।
তখন আমি বললাম, আপনার এ গল্পের সাথে রাসূলে পাক (সা)-এর পবিত্র ভবিষৎবাণীর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ভবিষৎবাণীতে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে, "লূদ" নামক গেইটের কাছে ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ) দাজ্জালকে পেয়ে যাবেন। আর তখনি তিনি দাজ্জালকে সেখানে কতল করবেন। কতল অর্থ হত্যা করা। এটি সহীহ মুসলিমের বর্ণনা।
নিচে হাদিসের খন্ডাংশ দেখুন -
فیطلبہ حتی یدرکہ بباب لد فیقتلہ‘‘ (صحیح مسلم ج۲ ص۴۰۱، باب ذکر الدجال)
------
কাদিয়ানিদের প্রকাশিত "রূহানী খাযায়েন" পুস্তক থেকে হাদিসটির ঊর্দূ অনুবাদ পড়ুন :-
---
پھر حضرت ابن مریم دجال کی تلاش میں لگیں گے اور لد کے دروازے پر جو بیت المقدس کے دیہات میں سے ایک گاؤں ہے۔ اس کو جاپکڑیں گے اور اس کو قتل کر ڈالیں گے۔‘‘ (ازالہ اوہام ص۲۱۹،۲۲۰، خزائن ج۳ ص۲۰۹)
-----
বাংলা অনুবাদ :-.... অতপর হযরত ইবনে মরিয়ম তিনি দাজ্জালকে খোঁজ করতে থাকবেন। "লূদ" নামক দরওয়াজায় যেটি বায়তুল মুকাদ্দাসের গ্রাম গুলোর একটি গ্রামে হবে, তাকে পাকড়াও করবেন এবং তাকে কতল (হত্যা) করবেন।" (সহীহ মুসলিম শরীফ ২/৪০১; দাজ্জালের আলোচনা অধ্যায়)
----
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের লুধিয়ান শহর থেকে ফিলিস্তিনে "লূদ" নামক স্থানটির দূরত্ব ৩২৬৩ কিলোমিটার। গুগল থেকে সার্জ দিয়ে দেখুন।
সুতরাং কাদিয়ানিদের সব আকিদা এবং ব্যাখ্যা বাস্তবতা বিবর্জিত ও মিথ্যা। হাদিসে দাজ্জালকে "হত্যা" করা সম্পর্কে "কতল" শব্দটিও সুস্পষ্টভাবে এসেছে। এতেই প্রমাণিত হয়, কাদিয়ানিরা মস্তবড় মূর্খ এবং সত্য গোপনকারী।
সবাই এ ভয়ংকর দাজ্জালি জামাত থেকে সতর্ক থাকুন।

প্রতিশ্রুত ঈসা মাসীহ (আ) সম্পর্কে মুসলিম দুনিয়ার বিশ্বাস সম্পর্কে উইকিপিডিয়া'র মত ইন্টারন্যাশনাল ওয়েব সাইটে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে উল্লেখ হয়েছে।


প্রতিশ্রুত ঈসা মাসীহ (আ) সম্পর্কে মুসলিম দুনিয়ার বিশ্বাস সম্পর্কে উইকিপিডিয়া'র মত ইন্টারন্যাশনাল ওয়েব সাইটে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে উল্লেখ হয়েছে।

========================================================================

 (লিংক নিচে দেখুন)। এবার কাদিয়ানিদের উচিৎ উইকিপিডিয়ার এডমিনদের 'কাটমোল্লা' / ধর্মান্ধ/ জঙ্গি ইত্যাদি ব্যঙ্গার্থ শব্দে গালি দেয়া।

---------
উইকিপিডিয়া'র তথ্য মতে :
----
খ্রিস্টধর্মের মত ইসলাম ধর্মেও তিনি সম্মানিত একজন নবী; তবে ইসলাম ধর্মে তার ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে স্বীকার করা হয় না| বলা হয় যে, ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য যখন বাহক তাকে নিতে...
আরো দেখুন
ঈসা ইবনে মারিয়াম ( আরবি: عيسى, অক্ষরীকরণ: ʿĪsā ), যিনি নিউ টেস্টামেন্টে যিশু নামে পরিচিত, ইসলাম ধর্মে একজন নবী ও রাসূল এবং মসীহ হিসেবে স্বীকৃত।[১]
bn.wikipedia.org

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব হাফেয মাওলানা মুফতি ওসমান আল-হুমাম উখিয়াভী সিনিয়র মুহাদ্দিস জামেয়া ইসলামিয়া বাইতুল ক...