কাদিয়ানিদের আরেকটি মস্ত বিভ্রান্তির খন্ডন ও দাজ্জালকে ঈসা মাসীহ (আ) কর্তৃক হত্যা করা প্রসঙ্গ :-
নবুওতের দাবিদার মির্যা কাদিয়ানীর অনুসারিদের আহমদিয়া /কাদিয়ানী বলা হয়। তাদের ভুল ও ইসলাম বিরুধি আকিদার ফিরিস্ত অনেক দীর্ঘ। ওরা বুঝতে চায় না, তবে বুঝাতে চায় খুব। ওদের যেন বোধ উদয় হয়, যেন মির্যা কাদিয়ানির ধোঁকাবাজি উপলব্ধ হয় এ দোয়া করছি।ওদের বুঝানো হয়েছে যে, দাজ্জাল বলতে খ্রিষ্টান মিশনারি উদ্দেশ্য। কিন্তু ওদের যখন প্রশ্ন করা হল যে, বর্তমানে কি খ্রিষ্টান মিশনারি নেই? বলল, জ্বী আছে। তখন আবার জিজ্ঞেস করা হল, মির্যা সাহেব যদি আপনাদের বিশ্বাস অনুসারে প্রতিশ্রুত মাসীহ হন তাহলে "দাজ্জাল" নামক খ্রিষ্টান মিশনারিদের খতম না করে তার আগেই তিনি মারা গেলেন কিজন্য?
অথচ মাসীহ মাওঊদ দুনিয়াতে আগমন করে দাজ্জালকে খতম করবেন, তারপর মাসীহ (আ) ইন্তেকাল করবেন; এমন নয় কি?
তখন আহমদি বা কাদিয়ানিদের মুখরক্ষা করার মত আর কোনো সঠিক উত্তর খুঁজে পেলনা।
শেষরক্ষা হিসেবে জনৈক কাদিয়ানী পণ্ডিত উক্ত প্রশ্নের প্রতিউত্তরে আমাকে বললেন, দাজ্জালকে হত্যা করা হবে এমন কথা কোথায় আছে? আমি বললাম, তার মানে আপনি কী বুঝাতে চাইছেন?
তখন তিনি অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি গল্প শুনালেন। গল্পটি হল, দাজ্জাল তথা খ্রিষ্টান মিশনারি কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। ঈসা মাসীহ তাকে হত্যা নয়, বরং বধ করার জন্য আসবেন। মির্যা সাহেব ১৮৯১ সালে পাকিস্তানের লুধিয়ানা শহরে দাজ্জালকে বধ করেছেন। এ ধারা কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।
আমি বললাম, "বধ" মানে কী? তখন তিনি বুঝালেন, এর মানে হল, তাদের ত্রিত্ববাদের খন্ডন করে পরাজিত করা।
তখন আমি বললাম, আপনার এ গল্পের সাথে রাসূলে পাক (সা)-এর পবিত্র ভবিষৎবাণীর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ভবিষৎবাণীতে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে, "লূদ" নামক গেইটের কাছে ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ) দাজ্জালকে পেয়ে যাবেন। আর তখনি তিনি দাজ্জালকে সেখানে কতল করবেন। কতল অর্থ হত্যা করা। এটি সহীহ মুসলিমের বর্ণনা।
নিচে হাদিসের খন্ডাংশ দেখুন -
فیطلبہ حتی یدرکہ بباب لد فیقتلہ‘‘ (صحیح مسلم ج۲ ص۴۰۱، باب ذکر الدجال)
------
কাদিয়ানিদের প্রকাশিত "রূহানী খাযায়েন" পুস্তক থেকে হাদিসটির ঊর্দূ অনুবাদ পড়ুন :-
---
پھر حضرت ابن مریم دجال کی تلاش میں لگیں گے اور لد کے دروازے پر جو بیت المقدس کے دیہات میں سے ایک گاؤں ہے۔ اس کو جاپکڑیں گے اور اس کو قتل کر ڈالیں گے۔‘‘ (ازالہ اوہام ص۲۱۹،۲۲۰، خزائن ج۳ ص۲۰۹)
-----
বাংলা অনুবাদ :-.... অতপর হযরত ইবনে মরিয়ম তিনি দাজ্জালকে খোঁজ করতে থাকবেন। "লূদ" নামক দরওয়াজায় যেটি বায়তুল মুকাদ্দাসের গ্রাম গুলোর একটি গ্রামে হবে, তাকে পাকড়াও করবেন এবং তাকে কতল (হত্যা) করবেন।" (সহীহ মুসলিম শরীফ ২/৪০১; দাজ্জালের আলোচনা অধ্যায়)
----
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের লুধিয়ান শহর থেকে ফিলিস্তিনে "লূদ" নামক স্থানটির দূরত্ব ৩২৬৩ কিলোমিটার। গুগল থেকে সার্জ দিয়ে দেখুন।
সুতরাং কাদিয়ানিদের সব আকিদা এবং ব্যাখ্যা বাস্তবতা বিবর্জিত ও মিথ্যা। হাদিসে দাজ্জালকে "হত্যা" করা সম্পর্কে "কতল" শব্দটিও সুস্পষ্টভাবে এসেছে। এতেই প্রমাণিত হয়, কাদিয়ানিরা মস্তবড় মূর্খ এবং সত্য গোপনকারী।
সবাই এ ভয়ংকর দাজ্জালি জামাত থেকে সতর্ক থাকুন।
তখন আহমদি বা কাদিয়ানিদের মুখরক্ষা করার মত আর কোনো সঠিক উত্তর খুঁজে পেলনা।
শেষরক্ষা হিসেবে জনৈক কাদিয়ানী পণ্ডিত উক্ত প্রশ্নের প্রতিউত্তরে আমাকে বললেন, দাজ্জালকে হত্যা করা হবে এমন কথা কোথায় আছে? আমি বললাম, তার মানে আপনি কী বুঝাতে চাইছেন?
তখন তিনি অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি গল্প শুনালেন। গল্পটি হল, দাজ্জাল তথা খ্রিষ্টান মিশনারি কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। ঈসা মাসীহ তাকে হত্যা নয়, বরং বধ করার জন্য আসবেন। মির্যা সাহেব ১৮৯১ সালে পাকিস্তানের লুধিয়ানা শহরে দাজ্জালকে বধ করেছেন। এ ধারা কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।
আমি বললাম, "বধ" মানে কী? তখন তিনি বুঝালেন, এর মানে হল, তাদের ত্রিত্ববাদের খন্ডন করে পরাজিত করা।
তখন আমি বললাম, আপনার এ গল্পের সাথে রাসূলে পাক (সা)-এর পবিত্র ভবিষৎবাণীর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ভবিষৎবাণীতে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে, "লূদ" নামক গেইটের কাছে ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ) দাজ্জালকে পেয়ে যাবেন। আর তখনি তিনি দাজ্জালকে সেখানে কতল করবেন। কতল অর্থ হত্যা করা। এটি সহীহ মুসলিমের বর্ণনা।
নিচে হাদিসের খন্ডাংশ দেখুন -
فیطلبہ حتی یدرکہ بباب لد فیقتلہ‘‘ (صحیح مسلم ج۲ ص۴۰۱، باب ذکر الدجال)
------
কাদিয়ানিদের প্রকাশিত "রূহানী খাযায়েন" পুস্তক থেকে হাদিসটির ঊর্দূ অনুবাদ পড়ুন :-
---
پھر حضرت ابن مریم دجال کی تلاش میں لگیں گے اور لد کے دروازے پر جو بیت المقدس کے دیہات میں سے ایک گاؤں ہے۔ اس کو جاپکڑیں گے اور اس کو قتل کر ڈالیں گے۔‘‘ (ازالہ اوہام ص۲۱۹،۲۲۰، خزائن ج۳ ص۲۰۹)
-----
বাংলা অনুবাদ :-.... অতপর হযরত ইবনে মরিয়ম তিনি দাজ্জালকে খোঁজ করতে থাকবেন। "লূদ" নামক দরওয়াজায় যেটি বায়তুল মুকাদ্দাসের গ্রাম গুলোর একটি গ্রামে হবে, তাকে পাকড়াও করবেন এবং তাকে কতল (হত্যা) করবেন।" (সহীহ মুসলিম শরীফ ২/৪০১; দাজ্জালের আলোচনা অধ্যায়)
----
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের লুধিয়ান শহর থেকে ফিলিস্তিনে "লূদ" নামক স্থানটির দূরত্ব ৩২৬৩ কিলোমিটার। গুগল থেকে সার্জ দিয়ে দেখুন।
সুতরাং কাদিয়ানিদের সব আকিদা এবং ব্যাখ্যা বাস্তবতা বিবর্জিত ও মিথ্যা। হাদিসে দাজ্জালকে "হত্যা" করা সম্পর্কে "কতল" শব্দটিও সুস্পষ্টভাবে এসেছে। এতেই প্রমাণিত হয়, কাদিয়ানিরা মস্তবড় মূর্খ এবং সত্য গোপনকারী।
সবাই এ ভয়ংকর দাজ্জালি জামাত থেকে সতর্ক থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন