হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলনের নামে অপপ্রচার
হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজার জেলা শাখার নামে একটি কুচক্রিমহল অপপ্রচারে নেমেছে। ওই চক্রটি সংবাদ সম্মেলনের নামে জেলাজুড়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আজব এ খবরটি পত্রপত্রিকায় ছাপা হলে দলের নেতৃবৃন্দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। সংবাদ সম্মেলনটি কক্সবাজার জেলা হেফাজতের নয়।ক্ষুব্ধমহল বলেন, কথিত ও আজগুবী সংবাদ সম্মেলনটি মাওলানা ইয়াসিন হাবিবের একটি কূটচাল, সাজানো নাটক মাত্র। হেফাজতের নাম দিয়ে কক্সবাজার জেলা হেফাজতের অগোচরে সংগঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার জেলা হেফাজতে ইসলামের কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা ব্যতিরেখে ব্যক্তিগত স্বার্থে হেফাজতের ব্যানারকে যথেচ্ছা ব্যবহারের মাধ্যমে মাওলানা ইয়াসিন হেফাজতকে কলংকিত করেছেন। হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর চট্টগ্রাম দারুল উলুম মঈনুল ইসলামের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী, বিশ্ব বিখ্যাত আরবী সাহিত্যিক চট্টগ্রাম দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা সোলতান যওক নদভী, আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারীর সম্মানহানী করেছেন।
কথিত এ সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার জেলা হেফাজত সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট কোন সিনিয়র দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন না। স্বয়ং জেলা সভাপতি কিছুই জানেন না এব্যাপারে। ব্যানারের চেহেরাগুলো দেখলে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে এটি কক্সবাজার জেলা হেফাজতের সম্মেলন ছিল না। যা ছিল ইয়াসিন হাবিবের পাতানো ষড়যন্ত্রের আরো একটি নীল নকশা।
মুলত মাওঃ ইয়াসিন হাবিব লাইট হাইজ মাদ্রাসা নিয়ে অপপ্রচার ও তৎপরতা চালিয়ে মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিবেশকে বিনষ্টকরণের চক্রান্তে মেতে উঠেছেন। এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
উপরোক্ত বিষয়ে হেফাজত ইসলামের কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওঃ আবুল হোছেনের সাথে রবিবার বিকেলে ফোনালাপ হলে তিনি জানান, সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এ ধরণের কোন সংবাদ সম্মেলন হয়নি। তিনি নিজে বিষয়টি শুনে হতবাক হয়েছেন।
হেফাজতে ইসলামের জেলা সহ সভাপতি মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, মুফতি এনামুল হক, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা কাজী এরশাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামসুল হক নছীম বলেন, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে তারা কেউ কিছুই জানেন না। ভিত্তিহীন এ সংবাদ সম্মেলনের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা নেই।