বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯

হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলনের নামে অপপ্রচার


হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলনের নামে অপপ্রচার

হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজার জেলা শাখার নামে একটি কুচক্রিমহল অপপ্রচারে নেমেছে। ওই চক্রটি সংবাদ সম্মেলনের নামে জেলাজুড়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আজব এ খবরটি পত্রপত্রিকায় ছাপা হলে দলের নেতৃবৃন্দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। সংবাদ সম্মেলনটি কক্সবাজার জেলা হেফাজতের নয়।
ক্ষুব্ধমহল বলেন, কথিত ও আজগুবী সংবাদ সম্মেলনটি মাওলানা ইয়াসিন হাবিবের একটি কূটচাল, সাজানো নাটক মাত্র। হেফাজতের নাম দিয়ে কক্সবাজার জেলা হেফাজতের অগোচরে সংগঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার জেলা হেফাজতে ইসলামের কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা ব্যতিরেখে ব্যক্তিগত স্বার্থে হেফাজতের ব্যানারকে যথেচ্ছা ব্যবহারের মাধ্যমে মাওলানা ইয়াসিন হেফাজতকে কলংকিত করেছেন। হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর চট্টগ্রাম দারুল উলুম মঈনুল ইসলামের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী, বিশ্ব বিখ্যাত আরবী সাহিত্যিক চট্টগ্রাম দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা সোলতান যওক নদভী, আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারীর সম্মানহানী করেছেন।
কথিত এ সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার জেলা হেফাজত সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট কোন সিনিয়র দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন না। স্বয়ং জেলা সভাপতি কিছুই জানেন না এব্যাপারে। ব্যানারের চেহেরাগুলো দেখলে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে এটি কক্সবাজার জেলা হেফাজতের সম্মেলন ছিল না। যা ছিল ইয়াসিন হাবিবের পাতানো ষড়যন্ত্রের আরো একটি নীল নকশা।
মুলত মাওঃ ইয়াসিন হাবিব লাইট হাইজ মাদ্রাসা নিয়ে অপপ্রচার ও তৎপরতা চালিয়ে মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিবেশকে বিনষ্টকরণের চক্রান্তে মেতে উঠেছেন। এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
উপরোক্ত বিষয়ে হেফাজত ইসলামের কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওঃ আবুল হোছেনের সাথে রবিবার বিকেলে ফোনালাপ হলে তিনি জানান, সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এ ধরণের কোন সংবাদ সম্মেলন হয়নি। তিনি নিজে বিষয়টি শুনে হতবাক হয়েছেন।
হেফাজতে ইসলামের জেলা সহ সভাপতি মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, মুফতি এনামুল হক, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা কাজী এরশাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামসুল হক নছীম বলেন, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে তারা কেউ কিছুই জানেন না। ভিত্তিহীন এ সংবাদ সম্মেলনের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

প্রজাতন্ত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে লিখাটিকে ভাইরাল করুন!


প্রজাতন্ত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পোষ্টটি ভাইরাল করুন!

______

এই মাসে রংপুর বিভাগে (পঞ্চগড়) কাদিয়ানীরা প্রকাশ্যে মহাধুমদামে 'সালানা জলসা' করতে যাচ্ছে। এর আড়ালে তারা তাদের কাদিয়ানের নতুন "নবী"(?) মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দলে সাধারণ মানুষকে ভিড়ানোর অভিনব পায়তারা করছে! হে উম্মতে মুহাম্মদিয়া! আজও ঘুমিয়ে কেন?
_____
প্রজাতন্ত্রের সরকারের নিকট জিজ্ঞাসাঃ
দুনিয়ার সব মুসলিম দেশে কাদিয়ানীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে এদেশে কেন আজও নিষিদ্ধ হলনা? এর কারণ জানতে চাই আর নয়ত সরকারের তরফ থেকে আমাদের বলতে হবে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরেও মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী'র "নবী" দাবী সঠিক ছিল! (নাউযুবিল্লাহ)!
________
দেশের আপামর তওহিদি জনতার উদ্দেশ্যে বলছি, কাদিয়ানী সম্প্রদায় দুনিয়ার সব চেয়ে জঘন্য ও ধোকাবাজ একটি কাফের সম্প্রদায়। আমি গত দুই বছর তাদের কাদিয়ানের কথিত নবী মির্যা গোলাম আহমদের ৮৩ টি বইয়ের সমষ্টি ২৩ খন্ডে প্রকাশিত "রূহানী খাযায়েন" পড়ছি। অন্তত আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে, ওরা চরম ধোকা আর মিথ্যার স্বর্গে বিচরণ করছে।
______
এবার মির্যা কাদিয়ানী আর তার পুত্র মির্যা বশির উদ্দিনের বই থেকে শুধু দুটি ফতুয়াবাজি জেনে নিন!
# মির্যা কাদিয়ানীর পুত্র বশির উদ্দিন সাহেব লিখেছেনঃ "প্রত্যেক মুসলমান যিনি হযরত মাসীহে মওঊদ (মির্যা কাদিয়ানী)'র বয়াতে শামিল হয়নি, সে যদিও হযরত মাসীহ মওঊদের নামও শুনেনি, এমন ব্যক্তিও কাফের এবং ইসলাম থেকে বাহিরে।" (আয়নায়ে সাদাক্বাত, পৃষ্ঠা ৩৫; মির্যাপুত্র মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ)।
# মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেনঃ "(আমার) এই কিতাবগুলো এমন, যা সব মুসলমানই মুহাব্বতের দৃষ্টিতে দেখে আর তার জ্ঞান দ্বারা উপকৃত হয় এবং আমাকে গ্রহণ করে ও সত্যায়ন করে শুধুমাত্র যুররিয়্যাতুল বাগাইয়া তথা বেশ্যার সন্তানেরা ছাড়া। আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন। ফলে তারা (আমাকে) কবুল করবেনা" (দেখুন, রূহানী খাযায়েন খন্ড ৫ পৃষ্ঠা ৫৪৭-৪৮)। প্রয়োজনে তার বইয়ের স্কিনশট দেয়া যাবে।
____
শুনে অবাক হবেন যে, ওদের মির্যার বই থেকেই প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, ওরা উম্মতে মুহাম্মদিয়ার ৭৩ ফেরকার বাহিরে স্বতন্ত্র একটি দল। প্রমাণের জন্য 'রূহানী খাযায়েন' খণ্ড নং ১৭ পৃষ্ঠা নং ২২৬ এবং ৪৫৬ দেখা যেতে পারে। কিন্তু সাধারণ কাদিয়ানীরা এসব চিন্তাও করতে পারেনা!
____
সে যাইহোক, এখনই সময় ওদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের অমূল্য দৌলত "ঈমান" রক্ষার্থে তাদের সমুদয় কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে সরকারের নিকট দাবী জানানো। সরকার যেন বুঝতে সক্ষম হয় যে, এটি মুসলমানদের অন্যতম একটি ঈমানী দাবী! একে রাজনৈতিক ইস্যু'র সাথে কোনোভাবেই গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবেনা!
আর তাই সর্বপ্রথম সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, ওরা কাফেরের চেয়েও ভয়ংকর কাফের কিজন্য? এদের বই থেকেই এদের চেপে রাখা জঘন্য কুফুরি আকিদাগুলো আর মির্যা কাদিয়ানীর লাম্পট্য চরিত্রের অশুভ স্বরূপ খুলে খুলে দেখিয়ে দিতে হবে। তারপরই আমরা এদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পক্ষে যুক্তিক দাবি জানালে তা দ্রুত ফলপ্রসূ হবে এবং সর্বমহলে তা ব্যাপক সাড়া পাবে, ইনশাআল্লাহ।
____
সাবধান! কাদিয়ানীরা আমাদের ফেকহি মতানৈক্যপূর্ণ সৃষ্ট হানাফি মালেকি মাযহাবের সাথে নিজেদের কাদিয়ানীধর্মকে তুলনা করার মত ধৃষ্টতাপূর্ণ ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে থাকে। হয়ত এরূপ জালিয়াতি আর নিষ্ঠুর ছলনা করে তারা সরকারকেও বিভ্রান্ত করতে চাইবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আলেমদের বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনসহ সময়োপযোগী সকল আন্দোলনে কোমর বেধে আজই নামতে হবে।
আপনারা সবাই এই লেখাটি আজই কপি করে পোস্ট করুন।
_______
মুরতাদ কাদিয়ানিদের নানা রকম বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের খন্ডনে ১০০+ ডকুমেন্টারি লেখার লিংকঃ- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2094408950874500&substory_index=0&id=1965990427049687
_________
# ছবিঃ কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রধান নেতা মির্যা মাসরূর আহমেদ (২০০৩ সালে ক্যামেরায় ধারণকৃত)।

খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশ: #কেউ জাগবে কি? আবারও দেখা হবে রাজপথে

খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশ: #কেউ জাগবে কি? আবারও দেখা হবে রাজপথে: #কেউ জাগবে কি?  আবারও দেখা হবে রাজপথে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম হাদিস বিশারদ হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্ যালয়ের নায়েবে মুহতামিম আল্লাম...

#কেউ জাগবে কি? আবারও দেখা হবে রাজপথে

#কেউ জাগবে কি? 

আবারও দেখা হবে রাজপথে


দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম হাদিস বিশারদ হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের নায়েবে মুহতামিম আল্লামা হাফেয জুনায়েদ বাবুনগরী দা.বা. এর অসুস্থ্যতার খবর শুনে ছুটে এসেছিলেন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম “খতমে নবুওয়াত আন্দোলন” এর আমীর পীরে কামেল আল্লামা মুফতী নূর হোসাইন নূরানি দা.বা. এসময় তিনি বাবুনগরী দা.বা. মহুদয়ের কাছে বর্তমান কাদিয়ানী বিরোধী চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন এবং দু‘আনেন। এ সময় আমীরে খতমে নবুওয়াত নুরানী হুজুর বাবু নগরী দা.বা.কে একটি ভয়ংকর সংবাদ শোনালেন।
পঞ্চগড় জেলায় ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে "বার্ষিক ইজতেমা"নামে কাদীয়ানীদের বিশাল জলসা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি কাদীয়ানিরা সেখানে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও যারা সেই এজতেমায় যারা যাবে তাদের সকলকে একটি করে বিদেশী কম্বল দেবে। খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থাও থাকছে।প্রায় কোটি টাকা তারা এ উপলক্ষে বাজেট রেখেছে। স্থানীয় ওলামা ও দীনদার শ্রেণী প্রশাসনিক ও আন্তর্জাতিক শয়তানী শক্তির দাপটে কিছু করতে পারছেন না।
বাবুনগরী হুজুর এ কথা শুনে অঝোরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাবুনগী হুজুর ও আমীরে খতমে নবুওয়াত গণমাধ্যমে এক যৌথ বিবৃতি পাঠান। কাদিয়ানীদের জলসার তারিখে একই জায়গায় কাদীয়ানী বিরোধী মহাসমাবেশের ডাক দিতে যাচ্ছেন। দুই দীনের সিপাহসালার শপথ নেন
 জীবনের সর্বশেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত কাফের কাদিয়ানীদের বিরোধ্যে লড়াই, সংগ্রাম চালিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব হাফেয মাওলানা মুফতি ওসমান আল-হুমাম উখিয়াভী সিনিয়র মুহাদ্দিস জামেয়া ইসলামিয়া বাইতুল ক...