পীর সাহেব মুন্সিগঞ্জের বায়ানের মধ্যমে আগামীকাল মুন্সিগঞ্জের ঐতিহাসিক খতমে নবুওয়াত ইজতেমা শুরু হবে।
আগামীকাল
মুন্সিগঞ্জের ঐতিহাসিক খতমে নবুওয়াত ইজতেমা শুরু
পীর
সাহেব মুন্সিগঞ্জের বায়ানের মধ্যমে আগামীকাল মুন্সিগঞ্জের ঐতিহাসিক খতমে নবুওয়াত ইজতেমা
শুরু হয়ে শনিবার বাদ ফযর আখেরী
মুনাযাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
সংখ্যালঘু
কাদিয়ানী অপশক্তিকে অমুসলিম ঘোষনার দাবিতে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও খতমে নবুওয়াত আন্দোলন
বাংলাদেশের উদ্যোগে ইজতেমার ১০বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ২দিন ব্যাপী ঐতিহাসিক আর্ন্তজাতিক
খতমে নবুওয়াত ইজতেমা আগামীকাল বাদ ফজর হচ্ছে। খাদিমুল ইজতিমা আল্লামা মুফতি নুর
হুসাইন নুরানী দা.বা. এর বায়ানের মাধ্যমে। মাহফিলের প্রথম দিন খাদিমুল ইজতেমা উদ্ভোধনী বয়ানে নিয়ত পরিশুদ্ধির আলোচনা
করবনে। এছাড়া
তিনি প্রথম দিন শরিয়ত দ্বিতীয় দিন মারেফত তৃতীয় দিন খতমে নবুওয়াতের আক্বিদার বিষয়ে
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও দেশব্যাপী খতমে নবুওয়াত আন্দোলনের সাংগঠনিক চলমান কার্যক্রমের
ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও
আগামী বৎসরের বাৎসরিক
পরিকল্পনাসহ গুরুত্বপূর্ সিদ্ধান্ত নিয়ে
থাকেন। ধর্মপ্রাণ
মানুষ এই মাহফিল সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ, মুন্সিরহাটস্থ
খতমে নবুওয়াত মারকায মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে ১০বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে খতমে নবুওয়াত ইজতেমাকে
ঘিরে খতমে নবুওয়াত আন্দোলন কেন্দ্রিয় কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
ইজতেমা
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মুসল্লীদের
অবস্থানের জন্য সুবিশাল মাঠে ২টি সামিয়ানা পুরুষ মহিলার জন্য পৃথক শামিয়ানা টানানো
হয়েছে, যাতে লক্ষাধিক লোক অবস্থান করতে পারবে।
মাহফিলের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ-র্যাব
ছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় সাহস্রধিক স্বেচ্ছাসেবক
কাজ করছে। নিজস্ব
সবকটি
মাঠের নিরাপত্তা মনিটরিং করা হচ্ছে। তিন
৩০০ অধিক হর্ণের মাধ্যমে সব মাঠে বয়ান শোনার ব্যবস্থা আছে।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের
জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১টি হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর রয়েছে।
মুসল্লীদের খাবার পানি ও ওযু-গোছলের জন্য বিশুদ্ধ
পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে সবকটি মাঠে।
মুসল্লীদের চিকিৎসা সেবায়
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে
। ইতিমধ্যে
সারা বাংলাদেশ থেকে উক্ত
ইজতেমায় বাংলাদেশের নানা প্রান্ত হতে তৌহদী জনতা উপস্থতি হন এবছর সৌদিআরব থেকে ৪জন
মেহমান আসবেন বলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
(ফজিলতু শাইখ মালিক ওমর বিন আব্দুল হফিয আল-মক্কী।
ফজিলতু শাইখ মালিক আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল হক আল-মক্কী।
ফজিলতু শাইখ মালিক তাহের বিন আব্দুস সত্তার আল-মক্কী।
ফজিলতু শাইখ মালিক ইয়াসিন বিন মুহাম্মদ আল-মক্কী।
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত থাকবেন শাইখূল হাদিস
আব্দুর রউফ গউহার ডাঙ্গা মাদ্রাসা। শাইখুল
হাদিস জাফর আহমদ সাহেব পীর সাহেব ঢালকা নগর।
ফজিলতু শাইখ মুফতি শোইয়াব ইব্রাহীম।
খলীফা আব্দুল হাফিয মক্কী।
শাইখে তরিকত আল্লামা হাফিজুদ্দীন পীর সাহেব দীঘির
পাড়, মুন্সিগঞ্জ।
মুফতি হাসান জামিল খতীব সাইন ল্যাব জামে মসজিদ
ঢাকা। ফিদায়ে
খতমে নবুওয়াত আল্লামা হাফিজুর রহমান মুক্তাগাছা, মুন্সিগঞ্জ।
মুফতি নেছার আহমদ মুহতামিম দেওভোগ মাদ্রাসা মুন্সিগঞ্জ।
আল্লামা মুফতি শহিদুল্লাহ পেশ ইমাম শহর বড় জামে
মসজিদ মুন্সিগঞ্জ। মাওলানা
অধ্যাপক আশরাফ আলী শৈলকুপা, ঝিনাইদাহ।
এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন জাতিয় প্রর্যায়ে স্বর্ণ
পদকপ্রাপ্ত আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ক্বারী সাইদুল ইসলাম আসদসহ বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি
কলামিষ্ট, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন
বলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। দীর্ঘ
১০ বছর ধরে মানুষ এই ইজতেমার মাধ্যমে হেদায়াতের মিছিলে সমবেত হতে সক্ষম হয়েছে।
মুন্সিঞ্জের খতমে নবুওয়াত ইজতেমা রূহানী আমেজ
দিনদিন অবিশ্বাস্য গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হাজার হাজার মানুষ নদীর স্রোতের মতো ছুটে আসেন
মুন্সিগঞ্জের মুন্সিরহাট ইজতেমা নগরের শেমলা নদীর তীরে।
দিকভ্রান্ত পথহারা মানুষ এই ময়দানের বরকতে আল্লাহওয়ালাদের
কাতারে শামিল হওয়ার প্রতিযোগিতা করে। নবিজী
সা. এর রাজ সিংহাসন রক্ষার লক্ষ্যে খতমে নবুওয়াতের আক্বিদাকে পাকাপোক্ত করেন।
ইসলামের পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা নিয়ে ব্যক্তিগতজীবন, পারিবারিকজীবন, সামাজিকজীবন
ও রাজনৈতিক জীবনে দীনি দীক্ষা নিয়ে সফল মুত্তাকী মানুষে পরিণত হয়।
এই ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দেশবিদেশের খ্যাতিমান
শীর্ষ ওলামা হজরত আল্লাহওয়ালাদের মিলনমেলায় এসে অভিভূত হয়েছেন।
দুনিয়ার লোভ, শয়তানের
প্ররোচণায় রোগাক্রান্ত অন্তর, স্বার্থ
ও মোহের ঘুর্ণাবর্তে পড়ে নষ্ট হওয়া এই জীবনকে রূহানিয়াতের নুরে ধুঁয়ে মুছে পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন করার জন্য এই খতমে নবুওয়াত ইজতেমা হেদায়াতের কষ্টিপাথর।
ইশকের আগুনে নিজের আমিত্বকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিজেকে
খাঁটি সোনায় পরিণত করবার একটি মারাফাতের কারখানা।
ইজতেমার তাকওয়াপূর্ণ পরিবেশ, চমৎকার শৃঙ্খলা, রূহানী
বয়ান, মুজাহিদদের ক্ষণেক্ষণে জিকিরের ধ্বণিতে
মনে হয় মহান আল্লাহ আসমান থেকে লক্ষ লক্ষ ফেরেস্তা নাযিল করেছেন।
যাদের সৌভাগ্য হয়েছে রূহানিয়াত ও জিহাদের এই উন্মুক্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হবার, তাদের
কাছে আমার এই বর্ণনা কোনভাবেই যতেষ্ট নয়।
কারণ
ইজতেমায় নবাগত মুজাহিদদের অনুভূতি, অল্প
সময়ে তাদের জীবনের আমূল পরিবর্তন, পুরো
ময়দানের জান্নাতি পরিবেশ, নুরের
ঝলখানি, আসমান থেকে বর্ষিত আল্লাহ পাকের রহমত, প্রভুর
সনে নিবেদিতপ্রাণ আশিকদের কলিজা নিংড়ানো আকুতি, জাহান্নামের
ভয়ে পাগলদের বুকফাটা কান্না, অশ্রুসিক্ত
ময়দান ও শায়খের মর্মস্পর্শী বয়ানের বর্ণনা দৃশ্যমান কাগজে কলমে তুলে আনা কখনো সম্ভব
নয়!
যারা
এখনো এই ইজতেমায় আসেননি তারা বিশ্বাসই করবেন না যে, এই
ধরার বুকে এখনো আল্লাহ রহমত সরাসরি দেখতে পাওয়া যায়।
দু’ একজন
ব্যক্তি এই ঐতিহাসিক মাহফিল নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন, খতমে
নবুওয়াত আন্দোলনকে নিয়ে না জেনে, না
বুঝে সমালোচনা করেন, তাদের
উচিত অন্তত একবার এই ময়দানে ঘুরে আসা।
সরেজমিনে পর্যবেক্ষক করে বিরূপ মন্তব্য করা।
তাদের জন্য সুযোগ আসন্ন আগামী ০২-০৩ মার্চ”১৮
দুইদিন ব্যাপী এই ইজতেমায় অংশগ্রহণ করা।
সাথে সাথে যারা নিজের অন্তরকে সকল পাপাচার থেকে
মুক্ত করে, বিশুদ্ধ
আকিদা বিশ্বাস নিয়ে, শয়তানের
সকল প্ররোচনাককে পদদলিত করে প্রকৃত আল্লাহর আশেক হয়ে ইমান নিয়ে কবরে যেতে চায়, তাদের
জন্য এই মাহফিল সময়ের শ্রেষ্ঠ বাতিঘর।
আমিন
উত্তরমুছুন