বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব

হাফেয মাওলানা মুফতি ওসমান আল-হুমাম উখিয়াভী

সিনিয়র মুহাদ্দিস জামেয়া ইসলামিয়া বাইতুল কারীম হারিশহর চট্টগ্রাম। 

আষাঢ় মানে বর্ষার রিমিঝিম বৃষ্টি, গুড়ি বৃষ্টির মধ্যদিয়ে বর্ষার আগমন। বর্ষায় প্রাকৃতি যেন নতুন রূপে সাজে। নতুন রূপে সাজানোর লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো গৃহীত কর্মসূচীর আলোকে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করে থাকে।এ কর্মসূচীর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের বন বিভাগ নার্সারীগুলোকে নিয়ে বৃক্ষ মেলার আয়োজনসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মানুষকে উৎসাহ প্রদান করে থাকে।

বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধুএ বিশ্বকে সুশীতল ও বাসযোগ্য করে রাখার ক্ষেত্রে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য
এই পৃথিবীকে প্রাণীকুলের জন্য বসবাসযোগ্য করেছে বৃক্ষবৃক্ষ না থাকলে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়তপৃথিবী থেকে বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে এবং অক্সিজেন দিয়ে এই বৃক্ষই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর মোট উদ্ভিদ প্রজাতির ভেতরকার ২৫ শতাংশই বৃক্ষ বৃক্ষ ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশের কল্পনা করা অবান্তরইসলাম সঙ্গত কারণেই পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণে জনসচেতনতা তৈরিতে উদসাহ ও নির্দেশনা দিয়েছে
সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ঘোষণা করেন, ‘যদি কোনো মুসলমান একটি গাছের চারা লাগায় অথবা বীজ রোপন করে, অতপর সেই গাছ ও ফসল দ্বারা কোনো মানুষ উপকৃত হয় কিংবা পশুপাখি ভক্ষণ করে, এর বিনিময়ে তার আমলনামায় সদকার সওয়াব লিখিত হয়
মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ সৃষ্টি করে ভূপৃষ্ঠের প্রয়োজনীয় জীবনোপকরণ হিসেবে ফলবান বৃক্ষরাজি ও সবুজ শ্যামল বনভূমির মাধ্যমে সুশোভিত সৌন্দর্য্যমন্ডিত করেছেনবৃক্ষরোপণকে ইবাদতের সমতুল্য ঘোষণা করে ইসলাম যে শান্তির ধর্ম তা বাস্তবে রূপায়নের চমৎকার চেষ্টা করা হচ্ছেএ বিষয়ে মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত আছে একটি হাদিস, এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-কে বললেন, আমার ভাই চাষ করে আর আমি জিকির করি ও খাইমহানবী (সা.) বললেন তোমার চেয়ে তোমার ভাই বেশি আবেদএই নশ্বর পৃথিবীতে মুমিনের একমাত্র লক্ষ্যই হলো মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনবেশি বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভবগাছ লাগানো আমাদের প্রিয় নবিজী (সা.) এর অতি পছন্দনীয় একটি কাজ ছিল
বৃক্ষরাজি ও প্রকৃতি নিয়ে কুরআনের বর্ণনা
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কুরআনে উদ্ভিদ সম্পর্কে এরশাদ করেন, ‘আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে নয়নাভিরাম সকল প্রকার উদ্ভিদ উদগত করেছিআর আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং এর দ্বারা উদ্যান ও পরিপক্ক শস্যরাজি উদগত করি
এ আয়াতের মাধ্যমে পৃথিবীবাসী বৃক্ষরাজি যে কত বড় নিয়ামত তার প্রমাণ পায়আবহমান কাল ধরে বৃক্ষরাজি মানুষের জীবন-জীবিকার উপাদান জুগিয়ে আসছে একটি গাছ থেকে মানুষ, পশুপাখি, অন্যান্য প্রাণী ছাড়াও বিশ্ব পরিবেশ বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হয়প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার পক্ষে বৃক্ষের দান অপরিসীম
সমগ্র বিশ্বে পরিবেশ রক্ষায় ও তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছেএর সম্মুখভাগে রয়েছে বনায়নপৃথিবীটাকে সবুজ রাখতে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছেইসলাম এ ব্যাপার বিজ্ঞানসম্মত ও সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রাণী জগতের বসবাস অনুকূলে পৃথিবী গড়ার উৎকৃষ্ট ভূমিকা পালন করছেশুধু বৃক্ষরোপণ নয় বরং তা রক্ষাণাবেক্ষন বিষয়ে ইসলাম গুরুত্ব প্রদান করেছে

বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে হাদিসে উৎসাহ ও নির্দেশনা
মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি একটি ফলবান বৃক্ষরোপণ করে উহার সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ কর, তাহলে তোমাদের দ্বারা বেহেশতে একটি ফলবান বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সমতুল্য হবে
গাছ মুসলমানদের সদকায়ে জারিয়ার অন্যতম উপকরণমুসলমানেরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে মৃত্যুই জীবনের চূড়ান্ত সমাপ্ত নয়, মৃত্যুর পরও অনন্ত একটা সময়ের সম্মুখীন হতে হয়ইসলামে বৃক্ষরোপণ ও ফসল ফলানোকে সদকায়ে জারিয়া বা অবিরত দান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছেকোনো ব্যক্তি যদি একটি বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করে তাহলে ওই গাছটি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন ওই ব্যক্তির আমল নামায় সওয়াব লেখা হতে থাকবে
প্রিয় নবিজী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ করে তার সমস্ত আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায় শুধু তিনটি ব্যতীতআর তা হচ্ছে- (১) যদি সে কোনো সদকায়ে জারিয়া রেখে যায়, (২) এমন জ্ঞান রেখে যায় যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়, (৩) নেক সন্তান যে তার জন্য মাগফিরাত কামনা করেএই তিনটি ভালো কাজের ফল সে পেতে থাকবে
গাছপালা খাদ্য তৈরীর সময় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় পরিবেশ হতে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করেআর সমগ্র মানবকুল বায়ুমন্ডল হতে অক্সিজেন গ্রহণ করেগাছ যদি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন ত্যাগ না করতো তবে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যেত এবং প্রাণীকুল ধ্বংস হয়ে যেতএছাড়াও গাছ মানুষের জন্য খাদ্য, ওষুধ সরবরাহ ও আসবাবপত্র তৈরি মূল্যবান উপকরণের জোগান তো দিয়েই থাকেসুতরাং বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, যা কেউই অস্বীকার করতে পারেন না
জীবজন্তু ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে বৃক্ষের কোনো বিকল্প নেই তাই বৃক্ষরোপনণের প্রতি অত্যাধিক গুরুত্বারোপ করে রাহমাতাল লিল আলামিন ইরশাদ করেছেন, যদি কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার মুহূর্তেও তোমাদের কারোর হাতে একটি চারা গাছ থাকে তাহলে সে যেন সেই বিপদ সংকেট মুহূর্তেও তার রোপণ করে দেয়
আমাদের করণীয়
সবুজ শ্যামল বিশ্বের মানচিত্র রক্ষার জন্য আজ আমাদের সামনে একটি মাত্র পথ খোলা রয়েছে আর তা হলো অধিক বৃক্ষরোপণবৃক্ষহীনতায় যেকোনো দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়ফলে মানব জীবনে নানা সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হয়
বৃক্ষরোপণ অভিযানকে সফল করতে হলে সরকারের সঙ্গে জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবেপাশাপাশি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই মহতী কাজে অংশীদার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়সুতরাং বলা যায়, আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে সবুজের সমারোহ করতে সর্বস্তরের নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে
প্রকৃতপক্ষে ভূপৃষ্ঠে বৃক্ষের উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম বৃক্ষরাজি আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারণ, গৃহস্থালি, আসবাবপত্র, ওষুধ, জ্বালানি ও প্রাকৃতিক শোভাবর্ধন প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রভূত উপকার সাধন করেএছাড়া বৃক্ষ ভূমি ক্ষয়রোধ, পরিবেশ সংরক্ষণ, মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করেতাই ইসলামে বৃক্ষরোপনের প্রতি এত গুরুত্বারোপ করা হয়েছে
আমাদের সকলকে গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচানএই স্লোগান বাস্তবায়ন করে বৃক্ষরোপণকে একটি সামাজিক আন্দোলন রূপে প্রতিষ্ঠা করে ইহকালীন কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তি লাভে সচেষ্ট হতে হবে
গাছ-বৃক্ষ প্রকৃতি ও পরিবেশের বন্ধুতাই নির্বিচারে গাছ না কেটে প্রচুর বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করি
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে বৃক্ষরোপণের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার তৌফিক দান করুন আমীন...

লেখক : সম্পাদক ‘‘আলোর খেয়া‘‘ হেফাজত সমাচার, খতমে নবুওয়াতের খবর।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২০

মুফতি নুরানী হুংকার


মুফতি নুরানী হুংকার 

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে শরীয়ত বিরোধী প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে
মুফতি নুর হুসাইন নুরানী দা.বা.।
আমীরে খতমে নবুওয়াত আন্দোলন
 মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও বনশ্রী আইডিয়ালে মেয়েদের ওড়না পড়া নিষিদ্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা আব্দুল আলীম নেযামী, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি ওসমান আল হুমাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পর্দা ইসলামের ফরজ বিধান। এ বিধান পালন প্রতিটি নারীর জন্য অত্যাবশ্যক। অত্র প্রতিষ্ঠানে শুরু থেকেই মেয়েদের জন্য হিযাব অথবা ওড়না পরার নিয়ম ছিলো। কিন্তু গভর্নিং বডি ওড়না বা হিযাব পরতে পারবে না বলে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে ইসলাম ও শরিয়াহ বিরোধী প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আলেম উলামা ইসলামীদল ও তাওহীদি জনতা রাজ পথে নামতে বাধ্য হবে। তখন এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০

বিবাড়িয়ায় খতমে নবুওয়াত মাদরাসায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের হামলা

বিবাড়িয়ায় খতমে নবুওয়াত মাদরাসায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের হামলা


বি. বাড়িয়ার খতমে নবুওয়াত মাদরাসায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মুসলিম তাওহিদি জনতা।

আজ মঙ্গলবার বাদ মাগরিব বি.বাড়িয়ার কান্দিরপাড় এলাকায় কাদিয়ানী সম্প্রদায় কতৃক খতমে নবুওয়াত মাদরাসায় হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আহত করলে হাজার হাজার ইসলামপ্রিয় জনতা ও মাদরাসার তালিবে ইলম প্রতিরোধ ও বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসে।

এদিকে বিবাড়িয়ায় তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত মাদ্রাসায় কাদিয়ানী সম্প্রদায় কর্তৃক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন  খতমে নবুওয়াতআন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী আমীর আল্লামা মুফতি নুর হুসাইন নুরানী দা. বা.

সামাজিক গণমাধ্যমে দেওয়া এক নিন্দা বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ ১৪ই জানুয়ারি মঙ্গলবার বাদ এশা বি’বাড়িয়ায় অবস্থিত তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত মাদ্রাসায় ঢুকে মাদ্রাসা দখলের উদ্দেশ্যে ইসলাম, মুসলমান ও মুসলমানের নবীর স. দুশমন কাদিয়ানী গোষ্ঠী ছাত্র ও ওলামায়ে কেরামের উপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে, তা কোন ভাবেই বরদাশ্ত করা যায় না।

বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে মুফতি নুরানী বলেন, অনতিবিলম্বে তাহাফফুজে খতমে নবুওত মাদ্রাসার উপরে এই অমানবিক অত্যাচার এর দায়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের দোষী সদস্যগণকে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় না আনলে দেশব্যাপী আন্দোলনে তৌহিদী জনতা ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে। যা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

তিনি আরো বলেন, বিগত প্রায় ২০ বছর যাবত বাংলাদেশের মুসলমান কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে “  খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশ এর” ব্যানারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে, এই আন্দোলনকে কোন প্রকার মূল্যায়ন না করে কাদিয়ানীদের কে লালন পালন করে আসছে। সরকারি আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ের কারনে আজ তারা মাদ্রাসা মসজিদের উপর হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছে।

যদি বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা রাখতে বিলম্ব করে, তাহলে তৌহিদী জনতার আন্দোলনে দেশ অচল হয়ে যেতে পারে।

তিনি আহত ছাত্রদের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং মিডিয়া ও প্রশাসনকে সত্য ঘটনা যাচাই পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে সহায়তা করতে আহ্বান জানান।

শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯


আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে খতমে নবুওয়াত ইজতেমা সম্পন্ন


প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে খতমে নবুওয়াত ইজতেমা সম্পন্ন

মুন্সিগঞ্জের পীর আল্লামা মুফতি নুর হুসাইন নুরানী মোনাজাত পরিচালনা করেন 
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দক্ষিণপূরর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম খতমে নবুওয়াত ইজতেমা ঐতিহ্যবাহী জামিয়া খতমে নবুওয়াতের অগ্রহায়ণ মাসের বার্ষিক মাহফিলশানিবার সকালে মুন্সিগঞ্জের পীর খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুফতি নুর হুসাইন নুরানী মোনাজাত পরিচালনা করেন মোনাজাতে দেশ, মানবতা, ইসলাম ও দেশের মানুষের শান্তি ও কল্যাণের জন্য দোয়া করা হয়এছাড়াও কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণাস দাবি জানান। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপশক্তির হেদায়াত কিংবা ধ্বংসের জন্য দোয়া করা হয়
২৮ মার্চ  বাদ জোহর খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের উপদেষ্টা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশেরে মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় এই মাহফিলমাহফিলে প্রধান ৭টি অধিবেশনের মধ্যে আমীরে খতমে নবুওয়াত মুফতি নুরানী ৫টিতে বয়ান পেশ করেন এবং দুটি অধিবেশনে সৌদি থেকে আগত ইন্টার ন্যাশনাল খতমে নবুওয়াত মুভমেন্টের আমীর শাইখ ওমর বিন আব্দুল হাফিজ মক্কি দুটি অধিবেশনে বয়ান ও মুন্সিরগঞ্জের সর্ববৃহত জুমার নামাযের ইমামতি করেন।
আখেরি বয়ানে হজরত মুফতি নুরানী বলেন, মানুষ যখন আল্লাহ বিমুখ হয়ে যায় তখন মানুষের মধ্যে মানবতা থাকে না বিধায় তারা যে কোনো অপরাধে জড়িয়ে পরেসুতরাং আমাদের সবার মধ্যে আল্লাহ ভীতি এবং আল্লাহ ও রাসূলের পূর্ণ আনুগত্য থাকতে হবেআল্লাহ ও তার রাসূল (স.) মনোনীত দ্বীন ছাড়া অন্য কোনো তন্ত্রমন্ত্র কখনোই গ্রহণ করা যাবে নাযারা আল্লাহ ও তার রাসূলের আদর্শ ছাড়া অন্য আদর্শ গ্রহণ করে কিংবা সে আদর্শের দিকে লোকদিগকে আহ্বান করে, নিশ্চয়ই তারা পথভ্রষ্টতিনি সরকারের কাছে দাবি জানান অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করা হউক।
বার্তা পেরক
ওসমান আল-হুমাম
01819-995528
প্রচার সম্পাদক
খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশ




 


বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সরকারের প্রতি আল্লামা শাহ আহমদ শফির আহব্বান। অবিলম্বে পঞ্চগড়ে ৩ দিন ব্যাপী কাদিয়ানী সম্মেলন বন্ধ করতে হবে।

----------------------------------------------------------------------------------------------------
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফি পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের ৩ দিন ব্যাপী। সম্মেলন অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়ার জন্যে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, কাদিয়ানীরা পাঞ্জাবের মির্জা গােলাম আহমদ কাদিয়ানীকে নতুন নবী মানে। অর্থাৎ মহানবী হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি। ওয়াসাল্লামকে সর্ব শেষ নবী মানে না। তাই তারা নিশ্চিত ভাবে কাফের।
অথচ তারা নিজেদেরকে আহমদিয়া মুসলিম পরিচয় দিয়ে সাধারণ মুসলমানদের সাথে প্রতারনা করে। এরই । অংশ হলাে পঞ্চগড়ে ২২,২৩,২৪ ফেব্রুয়ারী কাদিয়ানী সম্মেলন।
তাই কাদিয়ানীদের এই সম্মেলন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।। এ ব্যপারে যারা আন্দোলন করছেন আমি তাদের সাথে পরিপূর্ণ একাত্মতা ঘােষণা করছি এবং কাদিয়ানীদের এ সম্মেলন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্যে সর্বস্তরের মুসলমানদের প্রতি আহব্বান যানাচ্ছি।
যদি এ সম্মেলন অবিলম্বে বন্ধ করা না হয়, প্রয়োজনে আমি পঞ্চগড় গিয়ে আন্দোলনে শরিক হবাে ইনশাআল্লাহ ।।
আল্লামা শাহ আহমদ শফি আরো বলেন, খতমে নবুয়াতের বরকতময় আন্দোলন যারা করছেন তারাসহ সকল দ্বীনি আন্দোলনের নেতাকর্মীদেরকে কালবিলম্ব না করে এই মহর্তে পঞ্চগড় গিয়ে প্রিয় নবীজির খতমে নবুয়াতের চির শত্রু কাফের কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তােলার জন্য আহব্বান যানাচ্ছি।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দা.বা.কে জাতীয় খতমে নবুওয়াত অ্যাওয়ার্ড প্রদান


আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দা.বা.কেজাতীয় খতমে নবুওয়াত অ্যাওয়ার্ড প্রদান


নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, “কাদিয়ানিদের কাফের ঘোষণার দাবিতে প্রয়োজন হলে আরেকটি শাপলা চত্বর কায়েম হবে
আজ মুন্সিগঞ্জে খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী কাদিয়ানী বিরোধী খতমে নবুওয়াত ইজতেমায় এর প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)  ফকীহুল আসর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেনগোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারী কাদিয়ানীরা আহমদিয়া মুসলিম জামাতনয়; বরং ওরা হচ্ছে শয়তানিয়া কাফের জামাতবাংলাদেশে মুসলিম পরিচয় তাদেরকে কোন কার্যকলাপ করতে দেয়া হবে না এবং অতিসত্বর তাদেরকে কাফের ঘোষণার জোরালো দাবি জানান তিনি
তিনি আরো বলেন, কাদিয়ানিরা সহজ-সরল মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে ইসলামের ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছেইসলামের বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করে সাধারণ মুসলমানদের ঈমান হরণের মত জঘন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে তারাবাংলাদেশসহ বিশ্বের সমস্ত মুসলমান এবং আলেম-ওলামারা একমত যে কাদিয়ানিরা মুসলিম নয় বরং তারা ইসলামের বিভিন্ন আকীদা-বিশ্বাসকে নষ্ট করার পায়তারা করে যাচ্ছেকোন মুসলমান তাদের কার্যক্রম সমর্থন করতে পারে নাতাই সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে কাদিয়ানিরা এদেশে ভিন্ন পরিচয় নিয়ে বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিচয়ে তাদের কার্যকলাপ পরিচালনা করুকমুসলিম পরিচয়ে তাদের কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে না দেয়ার অনুরোধ জানান তিনিসাথে সাথে তিনি বলেন, সাধারণ মুসলমানদের এই দাবি না মানলে নবীপ্রেমী মুসলমানদের নিয়ে আরেকটি শাপলা চত্বর কায়েম করা হবে হবে এবং দাবি আদায় করে নেয়া হবে প্রসঙ্গত : পঞ্চগড়ে আহমদীয়া কাদিয়ানি জামাতের তথাকথিত ইজতেমায় আয়োজনের ঘোষণার পর বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম এবং সাধারণ মুসলমানরা ক্ষোভে ফেটে পড়েনখতমে নবুয়াত আন্দোলনের নেতাকর্মীদের প্রচেষ্টায় সাধারণ মুসলমানদের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত কাদিয়ানীদের ইজতেমা আয়োজন বন্ধ হয় কিন্তু তাদের তৎপরতা বন্ধ হয়নিতাই বাংলাদেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামারা কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেএছাড়া তিনি মুফতি নুরানীর নেতৃত্বে যে কোন কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনে পাশে থাকার আশা ব্যাক্ত করেন। খতমে নবুয়াত আন্দোলনের আমীর বাংলাদেশের প্রথম বারের মত তাকে জাতীয় খতমে নবুওয়াত অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। বয়ান শেষে তিনি হেলিকপ্টার যোগে তিনি চট্টগাম বিকাল চারটার নাগাদ চলে যান।আগামী কাল সৌদি আরব থেকে ইন্টারন্যাশনা খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাইখ আব্দুর রউফ বিন আব্দুল হাফিজ মক্কী আসবেন বলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। ইজতিমার আখেরী মুনাজাত হবে শনিবার সকাল আট টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার হবে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমীরে খতমে নবুওয়াত মুফতি নুরানী বাবুনগরীকে জাতীয় খতমে নবুওয়াত  অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
বার্তা প্রেরক
মুহাম্মদ ওসমান আল-হুমাম
প্রচার সম্পাদক
০১৮১৯৯৯৫৫২৮
খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশ


ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের গুরুত্ব হাফেয মাওলানা মুফতি ওসমান আল-হুমাম উখিয়াভী সিনিয়র মুহাদ্দিস জামেয়া ইসলামিয়া বাইতুল ক...