প্রেস
বিজ্ঞপ্তি
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে খতমে নবুওয়াত ইজতেমা সম্পন্ন
মুন্সিগঞ্জের পীর আল্লামা মুফতি নুর হুসাইন নুরানী মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দক্ষিণপূরর্ব
এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম খতমে নবুওয়াত ইজতেমা ঐতিহ্যবাহী
জামিয়া খতমে নবুওয়াতের অগ্রহায়ণ মাসের বার্ষিক মাহফিল। শানিবার সকালে মুন্সিগঞ্জের পীর খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর আল্লামা
মুফতি নুর হুসাইন নুরানী মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে
দেশ, মানবতা, ইসলাম ও দেশের মানুষের শান্তি ও কল্যাণের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়াও কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণাস দাবি
জানান। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপশক্তির হেদায়াত
কিংবা ধ্বংসের জন্য দোয়া করা হয়।
২৮ মার্চ বাদ জোহর
খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের উপদেষ্টা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশেরে মহাসচিব
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় এই মাহফিল। মাহফিলে প্রধান ৭টি অধিবেশনের মধ্যে আমীরে খতমে নবুওয়াত
মুফতি নুরানী ৫টিতে বয়ান পেশ করেন এবং দু‘টি অধিবেশনে সৌদি থেকে আগত ইন্টার ন্যাশনাল
খতমে নবুওয়াত মুভমেন্টের আমীর শাইখ ওমর বিন আব্দুল হাফিজ মক্কি দুটি অধিবেশনে বয়ান
ও মুন্সিরগঞ্জের সর্ববৃহত জুমার নামাযের ইমামতি করেন।
আখেরি বয়ানে হজরত মুফতি নুরানী বলেন, ‘মানুষ যখন আল্লাহ বিমুখ হয়ে যায় তখন মানুষের মধ্যে মানবতা থাকে না বিধায় তারা
যে কোনো অপরাধে জড়িয়ে পরে। সুতরাং
আমাদের সবার মধ্যে আল্লাহ ভীতি এবং আল্লাহ ও রাসূলের পূর্ণ আনুগত্য থাকতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসূল (স.) মনোনীত দ্বীন ছাড়া অন্য কোনো
তন্ত্রমন্ত্র কখনোই গ্রহণ করা যাবে না। যারা
আল্লাহ ও তার রাসূলের আদর্শ ছাড়া অন্য আদর্শ গ্রহণ করে কিংবা সে আদর্শের দিকে
লোকদিগকে আহ্বান করে,
নিশ্চয়ই তারা পথভ্রষ্ট।’তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান
অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করা হউক।
বার্তা পেরক
ওসমান আল-হুমাম
01819-995528
প্রচার সম্পাদক
খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন